নিজের শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে আস্তে আস্তে পরিণত হতে চলেছে যশ বা ইয়াস (Yaas)। পূর্বাভাস আগেই ছিল। সেই পূর্বাভাস মতই শনিবার সকালবেলায় পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে রবিবারের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর আস্তে আস্তে উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে।
সোমবার শক্তি বাড়িয়ে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এর পরের ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর আবারও উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিমের দিকে এগিয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় যশ। তারপর বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার উপকূল তট বরাবর পৌঁছবে এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে এক বিবৃতি তে জানানো হচ্ছে, ওড়িশার অধিক পশ্চিমবঙ্গেই এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা অধিক। মনে করা হচ্ছে বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুকে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। তবে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে যে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় বঙ্গবাসী প্রত্যক্ষ করেছিলো সেই আমফানের থেকে ঘূর্ণিঝড় যশের দাপট কম হওয়ার সম্ভাবনা। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হচ্ছে, রাজ্যে ৪০-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভবনা রয়েছে। মঙ্গলবার হাওয়ার বেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিমি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী ২৫ মে থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা গুলি তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। কোনো কোনো জায়গায় আবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এগোনোর সাথে সাথে জেলা গুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে। ২৬ মে থেকে ভারী বৃষ্টি হবে শুরু হবে রাজ্যে। ২৭ মে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভবনা। ঘূর্ণিঝড়ের যশের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। ২৩ মে থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই মাছ ধরার জন্যে মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ২৩ তারিখ সকালের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন।