বিহারের ভাগলপুর থেকে একটি অবৈধ সম্পর্কের সাথে জড়িত বেশ ভয়ঙ্কর গল্প সামনে এসেছে। হোলির দিন মহিলার কাটা মাথা ঘিরে এই ঘটনার সূত্রপাত হলেও পুলিশি তদন্তে খুনের ঘটনা বেরিয়ে আসে। পুলিশ প্রথমে ফরেনসিক তদন্তের পর মৃতদেহ শনাক্ত করে। এরপর খুনের অভিযোগে ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হলে খুনের রহস্যের সমাধান হতে থাকে ধীরে ধীরে।
অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে এই গল্পের যোগসূত্র বাড়তে শুরু করে, যখন পুলিশ তদন্তে জানা যায় যে অভিযুক্ত স্বামী তার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করত যে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছে। এরপর বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে পাঁচ বন্ধু মিলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে। বুধবার স্বামীকে তার তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
জানিয়ে রাখি, হোলির দিন ভোররাঙের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার শিরশ্ছেদ করার খবর পেয়েছিল পুলিশ। মুণ্ডুহীন দেহ মিললে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুদিন পর ওই মহিলার মাথাও উদ্ধার করা হয়। মহিলার পরিচয় না পেলে শেষে পুলিশ দেহ দাহ করেছে। মামলায় কাহালগাঁও এসডিপিও শিবানন্দ সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলার হাতে নবীন নামের ট্যাটু খোদাই করা ছিল। যার ভিত্তিতে শিরশ্ছেদ করা মহিলাকে শনাক্ত করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা বুধুচক থানা এলাকার বাসিন্দা নবীন মণ্ডলের স্ত্রী।
এরপরই সন্দেহের ভিত্তিতে নবীনকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। পুলিশ নবীনকে গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনাস্থলেই তার সহযোগী নারদ পণ্ডিত, পাটোয়ারী মণ্ডল এবং ভুবনেশ্বর মণ্ডলকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। কাহালগাঁও এসডিপিও জানান, স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বামী নবীন মণ্ডল স্বীকার করেছেন। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে নবীন জানিয়েছেন, গ্রামের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল, যা নিয়ে তিনি বিরক্ত ছিলেন। এই বিষয়ে গ্রামে প্রতিনিয়ত কটূক্তি শোনা যাচ্ছিল, তাই সে তার বন্ধুদের সাথে তাকে হত্যা করে।