সম্প্রতি ভোপাল সাইবার পুলিশ এক হাই-টেক গ্যাংয়ের পর্দা ফাঁস করেছে যারা প্রযুক্তির সাহায্যে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রতারণা করত। এ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তিনজনই হরিয়ানার বাসিন্দা। এই লোকেরা বয়স্কদের তাদের টার্গেট বানাতো। গ্যাংটি ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকদের বাছাই করত। অশ্লীল ভিডিও কল করে ব্ল্যাকমেইল করত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণাকারী এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষকে তাদের শিকারে পরিণত করে আসছিল। পুলিশের নথি অনুযায়ী, তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ জনের কাছ থেকে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা প্রতারণা করেছে। সম্প্রতি এক অভিযোগকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই লোকেরা।
মেয়েদের নামে ফেক আইডি:
এই দুষ্কৃতীরা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সাইটে মেয়েদের নামে ভুয়ো আইডি তৈরি করত। তারপর মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতো ও কথা বলার পর তাদের কাছে ভিডিও কলও করত। অশ্লীল ভিডিও চালিয়ে স্ক্রিন শট রেকর্ড করে রাখতো কল করার সময়। এরপর তারা এই ভিডিওর মাধ্যমে ভিকটিমদের ব্ল্যাকমেইল করতো। ভিডিওটি ভাইরাল না করার নামে ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো।
ধৃত তিন অভিযুক্ত আদিল, আজহারউদ্দিন ও তামিল খান হরিয়ানার বাসিন্দা। তিনজনকেই রাজস্থানে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি ট্যাব, তিনটি মোবাইল ফোন, ছয়টি সিম কার্ড, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড এবং একটি পাসবুক ও চেকবই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাইবার ক্রাইম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ক্রমবর্ধমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার পুলিশও সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি জনগণকেও সময়ে সময়ে সচেতন করা হচ্ছে। ব্ল্যাকমেইলার ঠগদের এড়াতে পুলিশ জনতাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অজানা লোকদের সাথে বন্ধুত্ব না করার পরামর্শ দিচ্ছে। প্রতারকরা বেশিরভাগই প্রতারণার জন্য মেয়েদের নামে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে। অপরিচিত কাউকে ভিডিও কল করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অশ্লীল চ্যাটিংও করবেন না। এ ছাড়া কারও সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।