উত্তর প্রদেশের সঙ্গম শহর প্রয়াগরাজের সিএমও অফিসের কুষ্ঠ বিভাগে একজন ঝাড়ুদার কোটিপতি কর্মরত রয়েছেন। শুনে আপনি অবাক হচ্ছেন তো। তার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আছে এবং জমি, বাড়িও আছে। বিশেষ বিষয় হল প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি তার ব্যাংক থেকে বেতনও উত্তোলন করেনি। এখন ব্যাংকাররা তাকে বেতন উত্তোলনের জন্য অনুরোধ করছেন। কিন্তু ঝাড়ুদার ধীরজ লোকের কাছে টাকা চেয়েচিন্তে তার সংসার খরচ তুলে নেয়।
পোষাক দেখে মানুষ ভিখারি মনে করে:
ধীরজের পোষাক ও ময়লা জামাকাপড় দেখে লোকেরা তাকে ভিখারি বলে মনে করে। মানুষের পা ছুঁয়ে টাকা চেয়ে সে সংসার খরচ চালায়। এমনকি লোকেরা তাকে ভিখারী ভেবে টাকা দিয়েও দেয়। তবে ধীরজ সাধারণ মানুষ নন, তিনি কোটিপতি ঝাড়ুদার।
নোংরা জামাকাপড় পরা ধীরজ নামের এই ব্যক্তিকে সিএমও অফিসের আশেপাশে টাকা চাইতে দেখা যায় প্রায়ই। ভিক্ষুক ভেবে মানুষ টাকাও দেয়। তবে তিনি ভিক্ষুক নন, জেলা কুষ্ঠরোগ বিভাগে ঝাড়ুদারের কাজ করছেন এবং তিনি কোটিপতি। ব্যাঙ্কের কর্মীরা এই ব্যক্তির খোঁজে কুষ্ঠরোগ অফিসে পৌঁছলে পুরো ঘটনাটা জানা যায়। তখন কর্মচারীরা জানতে পারেন ধীরজ কোটিপতি। এমনকি ১০ বছর ধরে তিনি তার বেতন থেকে এক টাকাও তোলেননি। তার নিজের বাড়ি এবং অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে।
আসলে, ধীরজের বাবা এই বিভাগে ঝাড়ুদার হিসাবে কাজ করতেন এবং চাকরির মাঝখানে তিনি মারা যান। অন ডিউটি মারা যাওয়ায় ধীরজ ২০১২ সালে তার জায়গায় ঝাড়ুদারের চাকরি পান, তারপর থেকে তিনি ব্যাংক থেকে তার বেতন উত্তোলন করেননি। তিনি সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে টাকা চেয়ে খরচ চালান। এর পাশাপাশি তার মায়ের পেনশনও আসে, তবে একটি বিশেষ জিনিস রয়েছে যে ধীরাজ সরকারকে আয়করও দেয়।
বিয়ে করতে চায় না:
কোটিপতি ধীরাজ তার মা এবং এক বোনের সাথে থাকেন। তিনি এখনো বিয়ে করেননি এবং তিনি বিয়ে করতেও চান না। এর কারণ, তার ভয় কেউ তার টাকা নিয়ে নেবে। যদিও কর্মচারীদের দাবী অনুযায়ী ধীরজ মনের দিক থেকে কিছুটা দুর্বল, তবে পুরো কাজ সততা এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে করে।