উজ্জয়নের নাগদাতে শনিবার সকালে চম্বল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক তরুণী। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর সদ্য বিয়ে হয়েছে। আত্মহত্যার আগে ওই মেয়েটি তার বাবা-মাকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছিলেন। পুলিশ ওই নারীর দেহের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৫.৩০ টায় নাগদায় ২২ বছর বয়সী নববিবাহিত পুনম তার পরিবারের সদস্যদের একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে চম্বল নদীতে ঝাঁপ দেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘মা-বাবা, আপনারা আমাকে মৃত দেখতে চেয়েছিলেন, তাই আমি মরে যাচ্ছি’।
বলা হচ্ছে, এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল চম্বল নদীর নয়ন ঘাটে, তারপরেই পরিবারের সদস্যরা ওই মেয়েটির খোঁজ শুরু করে। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া নয়ন ঘাটে পৌঁছালে সেখানে তার ওড়না, মোবাইল ও চপ্পল দেখতে পান তিনি। এরপর ঘটনাটি বিড়লাগ্রাম থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবাহিত মহিলার খোঁজ শুরু করে। বিবাহিত মহিলাকে খুঁজতে উজ্জয়িনী থেকে একটি সাঁতারু টিম ডাকা হলেও রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিবাহিত মহিলা বড়ভাড়ার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে, তিনি এবিসি লাইনের বাসিন্দা সুরজ সিং সিসোদিয়ার সাথে বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে বিবাহিত নারীর খোঁজ চলছে। পুলিশ চম্বল উপকূলে পাওয়া মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে এবং এর কলের বিবরণও পরীক্ষা করছে।
বিড়লাগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুনম শনিবার সকালে বাড়ির বাইরে তালা লাগিয়ে কোথাও চলে গিয়েছিলেন। সকাল ৫.৩০ -এর দিকে, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান, যাতে তিনি আত্মহত্যার কথা বলেছেন। বর্তমানে ডুবুরিদের সহায়তায় তল্লাশি চলছে। নদীর পাড়ে পাওয়া মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে বিস্তারিত তথ্য বের করা হচ্ছে।