বেশ কয়েক মাস ধরেই করোনার দাপট আবার শুরু হয়েছে। কখনও কম আবার কখনও বেশি। সেই সাথে বাড়ছে করোনার মৃত্যুহার এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, ফলত আবারও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে কাতারে কাতারে মানুষ। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে করোনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না আমজনতা। প্রতিদিনের করোনার বারবাড়ন্তে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ চিন্তায় রাখছে রাজধানী দিল্লি এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বাই তথা মহারাষ্ট্র।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫,৯৪০ জন। যা গতকাল ছিল ১৭ হাজারের বেশি। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে যদিও অ্যাকটিভ কেস বেশ খানিকটা বেড়েছে। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ৭৭৯। অ্যাকটিভ কেসের হার গোটা দেশে ০.২১ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রেই একদিনে আক্রান্ত ৪,২০০-র বেশি যা গোটা দেশের সংক্রমিতের সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে। তবে গতকালের তুলনায় ২৩ শতাংশের কমল মুম্বইয়ে সংক্রমণ। শুধু মুম্বাইতেই একদিনে আক্রান্ত ১৮৯৮ জন। আবার অপরদিকে রাজধানী দিল্লির করোনা গ্রাফও খুব একটা ভালো না। একদিনে করোনা থাবা বসিয়েছে সেখানে ১৪৪৭ জনের শরীরে।
যদিও সুস্থতার সংখ্যা আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ৪ কোটি ২৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৮১ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যার মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১২,৪২৫ জন। ৯৮.৫৮ শতাংশ সুস্থতার হার।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী , দেশে ১৯৬ কোটি ৯৪ লক্ষেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন এর মধ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ। একদিকে যেমন ভ্যাকসিন চলছে তেমন চলছে টিকাকরোনও।