লখনউয়ের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বয়স্ক ডাক্তার দ্বিতীয় বার বিয়ের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে যে চরম শিক্ষা পেয়েছেন সেই খবর শিরোনামে এসেছে। ঘটনাটা কি হয়েছিল! জানুন পুরোটা!
সূত্র অনুযায়ী, লখনউতে বসবাসকারী ৭০ বছর বয়সী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোরাদাবাদের একটি বড় হাসপাতালে কর্মরত। নাম, যশ, খ্যাতি সবটাই রয়েছে। কিন্তু তিন বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। ডাক্তারের নিজেকে বেশ একা মনে হয়। তাই তিনি আবার বিয়ে করার কথা ভাবলেন। এই কারণে গত জানুয়ারিতে বিয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও ছাপান ওই চিকিৎসক। এরপরেই ভুগতে হয় তাকে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক অভিযোগে বলেন, বিয়ের বিজ্ঞাপন ছাপানোর পর অনেক প্রস্তাব পান তিনি। তবে ৪০ বছর বয়সী কৃশা শর্মাকে পছন্দ হয় তার। কৃশার সাথে হোয়াটসঅ্যাপের কলের মাধ্যমে কথাবার্তা শুরু হয়। নিজেকে একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে কৃশা বলেন, তিনি একজন ডিভোর্সী মহিলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন বর্তমানে।
কৃশা ডাক্তারকে জানান যে তিনি বর্তমানে আমেরিকায় একটি বড় কার্গো জাহাজে ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করছেন। প্রায় দেড় মাস পর তিনি মুম্বাই হয়ে লখনউ আসবেন। কৃশা বৃদ্ধ ডাক্তারকে এও জানান, তিনি এখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার কথা ভাবছেন। জাহাজে কাজ করার সময় তিনি আফ্রিকা থেকে প্রচুর সোনা কিনেছেন। কিন্তু সেগুলি সে আগে ভারতে পাঠাতে চায়। কারণ এত সোনা সঙ্গে নিয়ে আসা বিপদমুক্ত নয়। এর জন্য ডাক্তারের সাহায্য চায় ওই মহিলা।
কৃশা ডাক্তারকে বলেছিল যে সে রয়্যাল সিকিউরিটি কোম্পানি থেকে সোনা পাঠাচ্ছে। তিনি ডাক্তারকে ওই সোনার ডেলিভারি গ্রহণ করতে বলেন। এরপরই এক কুরিয়ার কোম্পানী থেকে ডাক্তারের কাছে ফোন আসে। কাস্টম ডিউটি ও পারমিশন ফি’র নামে চিকিৎসকের কাছ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা চায় তারা। ডাক্তারও তাদের টাকা দিয়ে দেন। পরে কৃশাকে ফোন করলে তার নম্বর বন্ধ আসে। পরে চিকিৎসক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। লখনউ সাইবার ক্রাইম থানায় এফআইআর দায়ের করেন তিনি।
এডিসিপি রাঘবেন্দ্র মিশ্রের মতে, মামলাটি প্রতারণার। তিনি ডাক্তারের অভিযোগে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।