একটি মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছে রাজস্থানের আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁশওয়ারা জেলা থেকে। এখানে এক পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্মের সাথে সাথে তাকে বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। নবজাতকের নিথর দেহ দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি বাঁশোয়ারার পৃথ্বীগঞ্জ এলাকার। রাজতলাব ফাঁড়ির ইনচার্জ রঘুবীর সিং জানান, সোমবার পৃথ্বীগঞ্জে অবস্থিত সরকারি স্কুলের পিছনে নবজাতকের মৃতদেহ পড়ে আছে বলে জানা যায়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, মৃতদেহটি নবজাতক একটি মেয়ে সন্তানের। মৃতদেহ উদ্ধারের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই তার জন্ম হয়। কাছাকাছি অবস্থিত একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে তাকে ছুড়ে মারা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাড়ির তৃতীয় তলার ছাদেও কিছু রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে:
কারা এই মানবতাবিরোধী কাজ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পৃথ্বীগঞ্জের বাসিন্দা রামচন্দ্র তেলির রিপোর্টে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পাশের বাড়ির তৃতীয় তলার ছাদেও কিছু রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে সেখান থেকে নবজাতককে ছুড়ে মারা হয়েছে। নবজাতককে কি জীবিত অবস্থায় ছুড়ে মারা হয়েছে নাকি মৃত্যুর পর নিক্ষেপ করা হয়েছে তাও তদন্তের বিষয়।
রাজস্থানে আগেও এমন ঘটনা সামনে এসেছে।
উল্লেখ্য, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগান দেওয়া রাজস্থানে অনেক সময় নবজাতক মেয়েদের পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়। এমনকি নবজাতক মেয়েকে জঙ্গলে ফেলে আসা, বা কুয়োতে ফেলার ঘটনাও সামনে এসেছে।