বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনলাইনে বা কোন ডেটিং সাইটে আলাপ হওয়া বিরাট কোন ব্যাপার নয় । আর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অনলাইনে আলাপ মানুষকে অন্ধের মত বিশ্বাস করাটা ঠিক নয়। কারণ এর পরিণতি যে কোন মুহূর্তে খুবই খারাপ হতে পারে। বছর পঁচিশের এই তরুণীর সঙ্গে ঠিক এমনটাই হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে নিজেরই এই গল্পটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধু বানাতে খুব ভালো লাগতো তার । ফেসবুকে এমন একজনের সাথে আলাপ হয় যাকে প্রচন্ড ভালো লেগে যায় তার। বন্ধুত্ব দিনের-পর-দিন এতটাই গাঢ় হয়ে গিয়েছিল যে তাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন ওই তরুণী । এমনকি ওই ব্যক্তি এই তরুণকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন । যদিও তরুনীর মনে ওই যুবককে নিয়ে প্রেম বা বৈবাহিক কোন চিন্তা ছিল না সে শুধুই বন্ধু ছিল। যদিও যতদিন যাচ্ছিল ওই ব্যক্তির এই মহিলার প্রতি যত্ন,ভালো ব্যবহার, ভালোবাসা সব কিছু অনুভব করার পর নিচের সিদ্ধান্ত বদলে নেন ওই তরুণী । ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান তিনি !
এই অব্দি সবকিছুই ঠিকঠাকই চলছিলো কিন্তু অঘটনটা ঘটল বিয়ের পর । বিয়ের প্রথম রাতেই ওই মহিলা বুঝতে পারেন যে তাঁর স্বামীর শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহী নন । কোন কাজের চাপ বা মানসিক কোন চাপের জন্য এমনটা হচ্ছে বলে মনে করতে শুরু করেছিলেন ওই মহিলা প্রথম দিকে । কিন্তু যখন তার স্বামীর কাছে খোলাখুলি প্রশ্ন করতেন এই বিষয়ে তখন তার ওপর চলতে শারীরিক নির্যাতন অর্থাৎ মারধর থেকে শুরু করে শারীরিক অত্যাচার ।
তার মনে অনেক প্রশ্ন ছিল যে তার শামীম হয়তো সমকামী অথবা অন্য কোন সম্পর্কে জড়িত। তবে আজ অব্দি এর কোনও সঠিক উত্তর তিনি পাননি। বিয়ের চার বছর কেটে গেলেও নিজের কুমারিত্ব এখনো হারান নি তিনি। সব কিছু দেখার পর পৃথিবীতে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন তিনি । সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন বহুবার কিন্তু কোনো না কোনো কারণে কিছুতেই বের হতে পারছিলাম না অবশেষে তিনি ওই সম্পর্ক থেকে বেরোনোর জন্য ডিভোর্স হয়েই করেন এবং অবশেষে তিনি মুক্তি পান ওই সম্পর্ক থেকে। তাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের জীবনের এই অংশটা তুলে ধরেছেন এবং জানিয়েছেন যে অনলাইনে প্রেম কতটা ভয়ানক হতে পারে।