কোভিড আক্রান্ত দের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হল DRDO-র ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি)। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) নির্মীত এই ওষুধ। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ডিআরডিওর প্রধান কার্যালয়ে এই ওষুধটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরেই হাসপাতালে পাঠানো হয় ২-ডিজির ১০ হাজার প্যাকেট।
জানা যাচ্ছে ওষুধটি নিয়ে ট্রায়ালের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে। এরপরই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে DRDO-র ওষুধ 2 DG ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি আরও একটি ভালো খবর দেন DRDO-এর চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, 2 DG ওষুধের দ্বিতীয় ব্যাচ আসতেও আর দেরি নেই। মে মাস শেষ হওয়ার আগেই তা চলে আসবে। তবে এই ওষুধ হবে ‘লিমিটেড’। করোনা ভাইরাসকে রুখতে ভারতের হাতে এই ওষুধটি নিঃসন্দেহে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন। DRDO আরো দাবি করে, মুমূর্ষ রোগীর ক্ষেত্রেও ভীষণ ভাবে কার্যকর হবে এই ওষুধ। শ্বাসকষ্টও কমাতেও কার্যকরী হবে ওষুধটি। ২-ডিজি ওষুধে কোভিড আক্রান্ত শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে না। ওষুধ টি খেতে হবে জলে গুলে। DRDO ও হায়দরাবাদের রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ এক সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি বাজারে এনেছে।
সূত্রে বলা হচ্ছে ২০২০ সালের এপ্রিলেই DRDO -র বিজ্ঞানীরা এই সাফল্য পেয়েছিলেন। এই ওষুধটি এক ধরনের থেরাপিউটিক প্রয়োগ যা কোভিড রোগীদের সুস্থ করে তুলতে অনুঘটকের মতো কাজ করবে। ২০২০ সাল থেকেই ওষুধটির ট্রায়াল চলে হাসপাতালে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, কর্নাটক,পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুর মোট ২৭টি কোভিড হাসপাতালে ওষুধটির ট্রায়াল চলেছে। তৃতীয় ট্রায়ালের ওষুধটির কার্যকরিতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গিয়েছে। এরপরই ইমার্জেন্সী ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।