মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগর থেকে একটি নৃশংস ঘটনার খবর সামনে এসেছে। যেখানে এক প্রেমিক যুবক প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেহ কোথাও লুকানোর জন্য সারা শহরে ঘুরে বেড়ায়। অভিযুক্তকে হিললাইন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, তার বান্ধবী তাকে বিয়ের জন্য বারবার তাগাদা দিত। এই কথা শুনতে তার মোটেও ভালো লাগতো না। যার জেরে রাগে প্রেমিককে খুন করেন তিনি।
৪০ বছর বয়সী অভিযুক্ত শচীন গোরখনাথ খাজেকর একজন পুলিশকর্মী এবং আশা মোরে নামক মহিলার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, আশা নাকি শচীনের কাছে প্রতিদিন টাকা চাইত এবং তাকে বিয়ের জন্যও ক্রমাগত চাপ দিত। এতে বিরক্ত হয়ে ১৪ই জুন রাতে চলন্ত গাড়িতে বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অভিযুক্ত। তারপর তার লাশ ফেলার জন্য এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকে।
ভিথালওয়াড়ি থানার পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সাদালকার একজন তথ্যদাতার কাছ থেকে এই তথ্য পেয়েছিলেন যে একটি নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িতে (MH 05 AS 6368) একজন ব্যক্তি এক মহিলার দেহ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন এবং তিনি একজন পুলিশকর্মী। পুলিশ তাকে ধরার জন্য একটি ফাঁদ পেতে ফেলে এবং হিললাইন থানার কাছে বদলাপুর পাইপলাইন কমপ্লেক্সে অবস্থিত মির্চি ধাবা থেকে শচীন এবং তার সহযোগী কল্পেশ মধুকর খাইরনারকে গ্রেপ্তার করে। তার গাড়ি থেকে আশা মোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করছেন সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক রঞ্জিত দের।
হিললাইন পুলিশ ইন্সপেক্টর রঞ্জিত ধারে বলেন, “তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি কনস্টেবলের বহু বছর ধরে ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত যা জানিয়েছেন, ওই মহিলা তার কাছে নিয়মিত টাকা দাবি করছিলেন এবং তাঁকে তার পরিবার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে বলছিলেন। এতে কনস্টেবল রাগান্বিত হন এবং তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মহিলাকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ডেকে একটি চলন্ত গাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর মৃতদেহ সমেতই ধরা পড়েন।