মশার উপদ্রব প্রচন্ড হারে বেড়েছে বর্ষার সময়। আর তাই অলআউট লাগিয়েছিলেন। এরপরই রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ে তারা। বাবা-মার সাথী তখনও শিশুটি ঘুমোচ্ছিল। আর অঘটনটা ঠিক তখনই হলো। শিশুটির এর মধ্যে হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠেই তার পাশে থাকা অলআউট কে দুধ ভেবে খেয়ে নিয়েছিল। আর তারপর…
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের অন্তর্গত মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলকুঠি পাড়ায়। বছর আড়াইয়ের দেবস্মিতা পুরকাইত নামে মেয়েটি বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অল্প একটু বৃষ্টি হলেই যেন প্রচন্ড পরিমানে মশার উৎপাত বেড়ে যায়। বেশ কয়েক বছরে তা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে । পুরকায়েত পরিবারের সদস্যরা এই মশা পোকামাকড় থেকে রেহাই পেতে অলআউট লাগিয়েছিলেন ঘরে। শুক্রবার দিন রাতের খাওয়া সেরে ঘুমাতে গিয়েছিলাম তারা।
ছোট্ট শিশুকন্যাটির প্রায় রাত পৌনে বারোটা নাগাদ আচমকাই ঘুম ভেঙে যায়। আর তখনই সে দুধ ভেবে অলআউট খেয়ে নেয়। এবার শিশুটির নড়াচড়া দেখে তার মা-বাবা ও ঘুম থেকে উঠে পড়ে। ওই দম্পতি ঘুম থেকে উঠিয়ে দিতে পান যে তাদের সন্তান সব অলআউট খেয়ে নিয়েছে। এই কান্ড দেখে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
ওই শিশুর মা বাবার দাবী , যদি তাদের ঘুম না ভাঙতো তবে বড়োসড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারতো। ওই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে জানিয়েছে যে শিশুটি এখন বিপদ মুক্ত আছে। পুরকাইত দম্পতি জানিয়েছেন যে , ‘রাত্রিবেলা সবাই খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিলাম। সবাই মিলে একসাথেই ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচন্ড ছটফট করতে থাকে ও। তখন দেখি ও অলআউটের বোতল প্রায় হাফ শেষ করে দিয়েছে। মনে হয় দুধ ভেবেই খেয়ে নিয়েছিল। সাথে সাথে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি ওকে।’