বাইরে কাজে গেলেই পাওয়া যাবে অনেক অনেক টাকা। আর এই বাইরে কাজে গিয়ে প্রচুর টাকা কমানোর প্রলোভন দেখাতেন বড় জা তাঁর ছোট জা কে। কিন্তু এভাবে লোভ দেখিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় ক্রমাগত শাসাতে থাকেন নিজের ছোট জা কে। নিউটাউন এর এক গৃহবধূ তাঁর দেওরের স্ত্রীকে পাচার করতে গেছেন ,এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও করা হয়েছে ওই মহিলা কে।
টিভি৯ বাংলার এক প্রতিবেদনে সম্পূর্ণ ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে। ওই গৃহবধূ নিউটাউনের প্রমোদগড়ের বাসিন্দা। তাঁকে পাচার করতে চেয়েছিলেন তারই মাসতুতো বড় জা। ওই গৃহবধূর পরিবার সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাঁর দিদি জানিয়েছেন, যে তাঁর বোনকে প্রায়ই অনেক টাকার লোভ দেখানো হতো, বলা হতো ভিন রাজ্যে কাজে গেলে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবে।
এত কিছুর পরও যখন তাঁর বোন এই প্রলোভনে পা দেননি তখন রেগে গিয়ে রীতিমতো শাসাতে থাকে ওই গৃহবধুকে তাঁর জা। কিন্তু যখন ওই গৃহবধূর শশুরবাড়িতে এই অভিযোগ জানানো হয় তখন ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী মাস দুয়েক হল বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
নিজের বাপের বাড়ি থেকেই ওই মহিলা এসব কুকীর্তি করছিলেন। অন্য রাজ্যে কাজ করতে চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। আর তারপর থেকেই প্রিয়াঙ্কার উপর চাপ দেওয়া শুরুকরেন ওই মহিলা। শেষ দিকে রীতিমতো খুনের হুমকি দেওয়া হতো ওই গৃহবধুকে।
এই ঘটনার জেরে রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। তারপর ওই গৃহবধূর পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এখন প্রশ্ন একটাই, কি কারণে ওই মহিলাকে ভিন রাজ্যে কাজে নিয়ে যাওয়ার এতো ইচ্ছা? সেখানে এটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ যে ওই মহিলা নিজে কোনও চক্রের সাথে যুক্ত নাকি নিজেই নারী পাচার করতেন? প্রতিবেশীদের বক্তব্য, কোনও মতে বরদাস্ত করা যাবেনা এমন কাজ। এখন যদি দোষ প্রমান হয় তবে , কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত ওর। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন ,”পাড়ার মধ্যেই ঘটছে। আমরা তো কিছুতেই ভাবতে পারছি না। এ আবার কী কান্ড , চাকরি দেবে বলে কে আবার এমন করে!”
অভিযুক্তকে রবিবার নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে নিউটন থানার পুলিশ। বড় কোনও চক্র এর পেছনে আছে কিনা তদন্ত করছে নিউটাউন থানার পুলিশ। যদিও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই অভিযুক্ত দিতে চাননি।