প্রকৃতির শক্তির সমান কোন শক্তি নেই। প্রকৃতি কিভাবে কাকে তৈরি করবে সেই সম্পর্কেও কিছু অনুমান করাও কঠিন। এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে বিহারের নওয়াদা জেলায়, যা পড়লে আপনি অবাক হয়ে যেতে বাধ্য। আসলে, এখানকার একটি বাচ্চা মেয়ের ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামনে যার চারটি হাত এবং চারটি পা। এই অস্বাভাবিক গঠনের মেয়েটিকে দেখে সবাই হতবাক। মেয়েটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দরিদ্র বাবা-মা নিজের সন্তানের গঠন অস্বাভাবিক হওয়া সত্বেও তার চিকিৎসা করাতে অক্ষম। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, প্রতিবন্ধী এই শিশুটি কি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে? শিশুর নিরাময় সম্ভব কি আদৌ?
সূত্র অনুযায়ী, ৪ হাত ও ৪ পা বিশিষ্ট এই অস্বাভাবিক মেয়েটি নওয়াদা জেলার ওয়ারসালিগঞ্জ থানা এলাকার হেমদা গ্রামের বাসিন্দা। নওয়াদা শহরের কাছারি রোডে একে দেখতে পাওয়া যায়। মেয়েটিকে দেখতে ভিড় জমে যায়। এই মেয়েটিকে প্রথম দেখেন শহরের সমাজসেবক রাজেশ কুমার শ্রী। তিনি এই মেয়েটির একটি ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে , যা এখন ভাইরাল হয়েছে। ধীরে ধীরে শিশুটিকে দেখতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। ওই বাচ্চা মেয়েটির বাড়ি ওয়ারশালিগঞ্জ থানার হেমদা গ্রামের। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়েটির জন্ম থেকেই চারটি হাত ও চারটি পা রয়েছে।
শিশুটির বাবা শ্রমিকের কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। তিনি এই মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য পাওয়াপুরীর ভিমস হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। একরত্তি মেয়েকে নিয়ে নওড়ায় ফিরেছিলেন শিশুটির বাবা-মা। এদিকে হঠাৎ করেই মেয়েটি লোকজনের নজরে পড়ে এবং ধীরে ধীরে এই মেয়েটি কৌতূহলের বিষয় হয়ে ওঠে। যদিও এই ভিড়ের অনেকেই মেয়েটিকে এবং তার বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা করছিলেন, কিন্তু মেয়েটির বাবা-মায়ের নিজস্ব অসহায়ত্ব ছিল। স্থানীয় লোকজন মেয়েটির বাবা-মাকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছেন।