রাজস্থানে প্রতারণার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে যারা ই-কমার্স ওয়েবসাইট ফ্লিপকার্টকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন জয়পুরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, আসামিরা অনলাইনে আইফোন অর্ডার করতেন। এরপর ডেলিভারির সময় ডেলিভারি দিতে আসা ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করতেন। কিছুদিন পরে ফোনগুলো ফেরত দিতে চাইতেন। কিন্তু আইফোনের বিনিময়ে একটি ডামি ফোন কোম্পানির কাছে ফেরত দেওয়া হয়। ভীমগঞ্জ মান্ডি থানা পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা এ পর্যন্ত প্রায় ৩০-৪০ বার ঘটনাটি ঘটিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ফ্লিপকার্টকে ফাঁকি দিয়েছে।
শহরের এসপি কেসার সিং শেখাওয়াত বলেছেন যে ২৪শে মে ফ্লিপকার্ট কোম্পানির জয় চাভদা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগে তিনি জানান, মাহি শর্মা ওরফে দিলীপ শর্মা নামে এক গ্রাহক কোম্পানির বিভিন্ন নম্বর থেকে অনলাইনে মোবাইল অর্ডার করেন। এরপর অর্ডার বাতিল করে টাকা রিফান্ড নেন। এরপর তদন্তে দেখা যায়, মোবাইলগুলো ভুয়া। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
এসপি শেখাওয়াত সিও কালুরাম ভার্মার নির্দেশে এবং এসএইচও লক্ষ্মী চাঁদ ভার্মার নেতৃত্বে ভিমগঞ্জ মান্ডি থানা থেকে একটি বিশেষ দল গঠন করেন। তদন্ত শেষে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দলটি। তিনি জানান, রাহুল সিংয়ের ছেলে রাজকিশোর, ২৯ বছর বয়সী দিলীপ স্বামী ওরফে মাহি শর্মা দুজনেই জয়পুরের বাসিন্দা। অন্যদিকে, ৩২ বছর বয়সী অজয় কান্ত এবং ২৩ বছর বয়সী সুনীল নায়ক কোটার বাসিন্দা।
যেভাবে কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করত
অভিযুক্ত দিলীপ স্বামী ওরফে মাহি শর্মা বিভিন্ন ফ্লিপকার্ট আইডি থেকে আইফোন অর্ডার করে প্রিপেড পেমেন্ট করতেন। যে শহরে ডেলিভারি নিতে হত, সেই শহরের ফ্লিপকার্ট ডেলিভারি বয়কে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রলোভন দেখাতো। এরপর তার কাছ থেকে ১ ঘণ্টার জন্য আইফোনটি নিয়ে নিতেন। এ সময় তারা আসল আইফোনের পরিবর্তে ডামি আইফোন ফেরত দিতেন ডেলিভারি ম্যানকে। এর পরে, ডেলিভারি বয় ডেলিভারি বাতিল করার বিষয়ে সংস্থাকে একটি বার্তা পাঠাতেন, তারপরে অভিযুক্ত দিলীপ স্বামীর অ্যাকাউন্টে অর্থ ফেরত দেওয়া হতো। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্তরা বলেছে যে এইভাবে ৩০ থেকে ৪০ টি আইফোন অর্ডার করা হয়েছে, যার থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে ফ্লিপকার্টের সাথে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।