কৃত্রিম লিঙ্গ ব্যবহার করে তিন নারীকে যৌন সম্পর্কের জন্য প্রতারিত করায় এক ট্রান্সজেন্ডার পুরুষকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তারজিৎ সিং, যিনি হান্না ওয়াল্টার্স নামক এক মহিলা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু এখন একজন পুরুষ হিসাবে চিহ্নিত। জানা গিয়েছে ২০১০ সালের জুন মাস থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনজন মহিলার সাথে আপত্তিকর সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি। যেসব নারীদের সাথে তারজিৎ সিং সম্পর্ক তৈরি করতেন তারা জানতেন না তিনি কৃত্রিম লিঙ্গ ব্যাবহার করে যৌন সঙ্গম করতেন। ওই নারীরা জানিয়েছে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সেক্সের সময় ঘর সবসময় অন্ধকার করে দিতেন এবং একটি কৃত্রিম লিঙ্গ ব্যবহার করতেন। বিশেষ ভাবে নির্মিত কোমরবন্ধ এর সাথে আটকানো ‘প্রস্থেটিক পুরুষাঙ্গ’ লাগিয়ে রাখতেন তরজিৎ।
ওই নারীরা কিছু একটা অস্বাভাবিক এমনটা আঁচ করে প্রশ্ন করা শুরু করলে, সিং আপত্তিজনক এবং কৌশলী হয়ে উঠতো। সে তাদের একজনকে বলে যে যৌনতার চেয়ে সম্পর্ক বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং তার অনুভূতি সম্পর্কে আরও শেখা উচিত। অবশ্য এত কিছু বুদ্ধি খাটিয়েও বেশিদিন এই ছল চাতুরী চালিয়ে যেতে পারেননি। তরুণীরা ধরে ফেলেন তার মিথ্যা।
প্রশাসন সূত্রে খবর মহিলারা তার সত্যিটা জানার সাথে সাথেই রীতিমত অত্যাচারী হয়ে ওঠেন তারজিৎ সিং নামক ওই ব্যাক্তি আর মহিলা সঙ্গীদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন। কিন্তু শেষমেষ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আদালত। জানা গেছে তাকে অনৈতিক অনুপ্রবেশের জন্য, হামলার জন্য এবং প্রাণে মারার হুমকির জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের বর্ণনা করে দিয়ে, একজন মহিলা বলেছেন: “সে একজন পুরুষের মতো দেখতে ছিল, সে একজন পুরুষের মতোই আচরণ করতো।”
ভুক্তভোগী কয়েক মাস পর অভিযুক্তের স্ট্র্যাপ-অন কৃত্রিম লিঙ্গ খুঁজে পাওয়ার পর মহিলা সঙ্গী জানতে পারে তার সঙ্গীর মহিলা যৌনাঙ্গ রয়েছে। তিনি পুলিশ অফিসারদের বলেছিলেন যে তিনি এতটাই বোকা বোধ করেছিলেন যে তিনি এই ধরনের মিথ্যার ফাঁদে পড়েছিলেন এবং টের পাননি।