সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত সাহসী ছবি বা ভিডিও পোস্ট করায় অনেক সময় সেই সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কে ব্যাবস্থা নিতে হয়। কেননা সব প্ল্যাটফর্ম প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নয়। যেমন ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম। এমন জায়গায় অনেক মডেল অতিরিক্ত বোল্ড আর নগ্ন বা অর্ধনগ্ন ছবি শেয়ার করলেও তাঁদের অ্যাকাউন্ট ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে ওই প্ল্যাটফর্মের নিয়ম না মানার জন্য সাধারণত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়! মাঝেমধ্যেই হয় এমনটা।
এমনই হয়েছিল এক মডেল কিট্টি লিক্সোর সাথে। কিটি লিক্সো একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং আজকাল তিনি নিউজ চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে শিরোনাম তৈরি করছেন। আসলে কয়েকদিন আগে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় কর্মকর্তারা। কেননা রিপোর্ট হয়েছিল তিনি অতিরিক্ত সাহসী আর যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি শেয়ার করছেন যা ইনস্টাগ্রামের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু ওই মডেল এক অদ্ভুত উপায়ে তার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে। কিভাবে জানলে অবাক হবেন আপনিও।
কিছুদিন আগে একটা পডকাস্ট শোতে হাজির হয়েছিলেন কিটি লিক্সো। সেখানেই ফাঁস করেন এই গোপন কথা। ইনস্টাগ্রামে ইনফ্লুন্সের হিসাবে পরিচিত কিট্টির ১,৫০,০০০ জন ফলওয়ার্স রয়েছে। একাউন্ট নিষিদ্ধ হওয়ায় সব হারাতে বসেছিলেন তিনি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম পরিচালনা করেন যারা সেই মেটা কর্তৃপক্ষ কে বারবার জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। শেষ অব্দি এক ফন্দি আঁটেন এই মডেল। এক মেটা কর্মীকে দিয়ে একাউন্ট পুনরুদ্ধার করাতে তার সাথে সঙ্গম করেন এই মডেল। এর পরেও বেশ কবার নানা কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিল তার একাউন্ট। প্রত্যেকবারই একই ভাবে সঙ্গম করে নিজের একাউন্ট থেকে ব্যান তুলেছেন তিনি।
তিনি নিজের পক্ষ রাখতে গিয়ে বলেছেন যে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি বিকিনি এবং অন্তর্বাস পরিহিত ছবিতে পূর্ণ কিন্তু তিনি কখনই সম্পূর্ণ নগ্নতার ছবি শেয়ার করেননি। তিনি তার ছবি পোস্ট করার সময় সর্বদা ইনস্টাগ্রামের গোপনীয়তা এবং নীতিগুলি তার মনে রাখতেন কিন্তু তবুও, “যৌনতার প্রচার করছেন” এই দোষ চাপিয়ে জন্য তার ইনস্টাগ্রাম। অ্যাকাউন্টটি তিন বা চারবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল৷ তিনি মরিয়া হয়ে তার অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। তাই সব কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি।