দুনিয়া ডিজিটাল হয়ে গেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল যে কতটা বেহাল এই ঘটনায় আবার তা সামনে এলো।
ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলা হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবে রোগীদের নানা সমস্যার সন্মুখীন হতে হচ্ছে। এখানে দুই গর্ভবতী মহিলার প্রসবের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে চরম অবহেলা। জেলার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যবস্থা খারাপ হয়েছে। অভিযোগ পর্যাপ্ত বেডের অভাবে গর্ভবতী নারীদের প্রসব করতে হচ্ছে বাইরে ও বাথরুমে। সোমবার রাতে, হাসপাতালে এমন দুটি ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, যেখানে একটি ক্ষেত্রে ওয়ার্ডের বাইরে প্রসব করাতে হয়েছিল এবং আরেক মহিলা কে বাথরুমেই প্রসব করতে হয়। ওই নারীর স্বজনরা বলছেন, ঈশ্বরের কৃপায় নবজাতক বা মা উভয়ের কিছুই হয়নি, অন্যথায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কোরবা জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কোরবা সীমান্তবর্তী ধওয়ালপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামতি নামে এক মহিলা প্রসব বেদনায় ভুগছিলেন। মা ও শিশু দুজনের সুরক্ষার কথা ভেবে জেলা হাসপাতালের দ্বারস্থ হন স্বজনরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে তিনি পড়েন চরম বিপদে। হাসপাতালে স্থান স্বল্পতার কারণে তাকে ভর্তি করা হয় না, প্রত্যাখ্যান করা হয়। বিছানার অভাবে গর্ভবতী মহিলাকে ওয়ার্ডের বাইরে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল যেখানে শ্যামতী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
মিতানিন কটকি বাই জানিয়েছেন, জয়পাল যাদবের স্ত্রী মমতা যাদবের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। উরগা থানা এলাকার কাটবিতলা গ্রামের বাসিন্দা মমতা যাদবকেও পরিবার এই আশা নিয়ে জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল যে তার বংশের প্রদীপ এখানে কোনও সমস্যা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করবে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের অসতর্কতায় বেডের বদলে বাথরুমেই জন্ম নেয় জয়পালের সন্তান। মমতাকেও হাসপাতালের কর্মীরা ওয়ার্ডে বেড না থাকার কথা বলে বাইরে বসতে বাধ্য করেন, তারপরে বাধ্য হয়ে বাথরুমে সন্তানের জন্ম দেন মমতা। শিশু দুটিকে বর্তমানে এসএনসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।