বিহারের বেত্তিয়া থেকে বলিউড ছবির চিত্রনাট্যের মতোই এক প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর প্রতিশোধের কাহিনী সামনে এসেছে। এই কাহিনীর সাথে বেশ কয়েক বছর আগে রুপোলি পর্দায় রিলিজ হওয়া অমিতাভ বচ্চন এবং জিয়া খানের ছবি নিশাব্দের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে বলাই যায়। ছবিতে, অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রটি জিয়ার চরিত্রের প্রেমে পাগল এবং বিহারের এই বাস্তব প্রেমের গল্পে, ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ একজন মহিলার প্রেমে পাগল হয়ে যায়। কিন্তু এই অনন্য প্রেমের গল্পে একটা সময় আসে, যখন ‘বৃদ্ধ প্রেমিক’ হয়ে ওঠেন ‘ডর’- সিনেমার শাহরুখ খানের মতই এক খল চরিত্র।
ঘটনাটা কি? বেত্তিয়ায় বসবাসকারী ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সন্তান সম্পর্কিত কারণে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এক সময় বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে লোকটি রেগে তার বান্ধবীর উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। ঘটনাটি নরকাটিয়াগঞ্জ শিকারপুর থানার বড়গাজওয়া গ্রামের।
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, রাতে সে নিজের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল। এসময় কাসেম মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিঃশব্দে তার বাড়িতে এসে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায় এবং সকালে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে জেলা হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। মিডিয়ার সামনে নিজের প্রেমের কথা অস্বীকার করেছেন ওই নারী। তবে দুজনের সম্পর্ক নাকি গ্রামে সকলের জানা।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন, তার স্ত্রী ১২ বছর আগে মারা গেছেন। এরপর ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। অনেক বছর ধরে দুজনের ভালো সম্পর্ক ছিল কিন্তু সন্তানদের কারণে দূরত্ব তৈরি হয়। তারপর আমরা দুজনেই আলাদা হয়ে যাই। বলেন, একই গ্রামে বসবাস তো করতে থাকেন তারা কিন্তু তারা নিজেদের পথ পরিবর্তন করে নিয়েছে এবং কথা পর্যন্ত বলেন না।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর দুই সন্তানই বিবাহিত। তিনি বান্ধবীর ওপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারেন নি। তাকে জোর করে এ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। অন্যদিকে, নারকাটিয়াগঞ্জ শিকারপুরের ইনচার্জ এসএইচও শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করার পর অভিযুক্ত প্রবীণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলা বেত্তিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।