লোকেরা একা বা কিছু বিশেষ বন্ধুদের সাথে পর্ন দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু, ভাবুন তো আপনার কী হবে যদি আপনি গোপনে পর্ন দেখতে মগ্ন থাকেন এদিকে আপনার মা পেছন থেকে এসে পড়ে? অবস্থাটা বেশ অস্বস্তিকর এবং বিব্রত করারই মতন। কয়েক বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল এক কিশোরের সাথে। কিন্তু চমকপ্রদ বিষয় সেটা নয়। চমকপ্রদ বিষয় হলো এটি যে তার পরে কি হয়।
মেট্রোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেনজেল নামে এক কিশোর তার রুমে একা বসে তার প্রিয় সাইট পর্নহাব থেকে পর্ন দেখছিল। হঠাৎই তার মা সেই ঘরের কাছে চলে আসে। ডেনজেল কোনো মতে পর্ন সাইটটি বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে, স্ক্রীন ঠিক সেখানে জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। তখনই সে বুঝতে পারল যে তার মা সিঁড়ি দিয়ে উঠে পরেছে, এবং তার ঘরের খুব কাছে চলে এসেছে আর এখন যে কোনও সময় ভিতরে চলে আসবে।
এদিকে স্ক্রিনে তখন চরম উত্তেজনাপূর্ণ একটি অশ্লীল সিন চলছে। সেই সময় কিংকর্তব্যবিমূঢ় ডেনজেল পালানোর আর কোন উপায় না পেয়ে শেষ অবধি সোজা ল্যাপটপটি তুলে নেয় এবং আছাড় মেরে দেয়। এর কারণে ল্যাপটপ ভেঙ্গে গেল। সে তার সর্বশক্তি দিয়ে ল্যাপটপটি দেয়ালে ঠুকে দিয়েছিল। ঘটনার পরে, ডেনজেল তার পুরো কাহিনী টুইটারে লক্ষাধিক লোকের সাথে ভাগ করে নেয়। বলাই বাহুল্য তার এই কাহিনীটি ভাইরাল হয়ে যায় সেই সময়।
কয়েক বছর আগের এই ঘটনাটি যখন টুইটারে ভাইরাল হয় তখন এই ঘটনা জানার পর মানুষ ডেনজেলকে নানা আইডিয়া দিতে থাকে। কেউ বলে তার ল্যাপটপের ব্যাটারি বের করা উচিত ছিল। তাই কেউ বলবেন যে ল্যাপটপটি বন্ধ করে দিলেই হতো।
ডেনজেল পরে বলেছিলেন যে ঘটনার আকস্মিকতায় ল্যাপটপটি দেয়ালে আঘাত করা ছাড়া আর কিছু যে উপায় আছে সেটাই তার মাথায় আসেনি। যাইহোক, পরে পর্নহাব নামক সেই পর্ন নির্মাণকারী সংস্থা যখন বিষয়টি জানতে পারে, তারা ডেনজেলকে তাদের বিশ্বস্ত গ্রাহক হিসাবে বিবেচনা করে একটি নতুন ল্যাপটপ পাঠায়। এই ছিল এই কাহিনীর সব চেয়ে আশ্চর্যজনক দিক। কেননা এর আগে কোনো পর্ন কোম্পানি কোনো গ্রাহককে পর্ন দেখার জন্য ল্যাপটপ পাঠায়নি।