উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার তারাউনহায় ঐতিহাসিক বালাজি মন্দির থেকে চুরি হয়ে যাওয়া কিছু মূল্যবান মূর্তিগুলিকে চিঠি লিখে আবার ফেরত দিয়ে গিয়েছে চোরেরা। মন্দির থেকে বেশ কয়েকটি অষ্টধাতুর মূল্যবান মূর্তি খোয়া যায়। কিন্তু নিজে থেকেই সেই মূর্তি গুলি ফেরত দিয়ে গেছে চোরেরা। কারণটা বেশ অদ্ভুত। কেননা তারা নাকি রাত্রে ঘুমাতে পারছেন না। চোরেরা মন্দিরের পুরোহিত বা মোহন্ত কে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠিও রেখে গেছেন চিঠিতে লিখেছে, “মূর্তি চুরির পর থেকে প্রতি রাতে আমরা ভীতিকর স্বপ্ন দেখি। তাই এগুলো আমরা নিজের কাছে রাখতে চাইনা। আমরা মূর্তিগুলো মহন্তের বাড়ির বাইরে জমা দিয়ে গেলাম।” মহন্ত সমস্ত মূর্তি কোতয়ালীতে জমা করেছেন।
৯ মে রাতে বালাজি মন্দির থেকে অষ্টধাতুর ১৬টি মূর্তি চুরি হয়। যার মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে, মহন্ত রামবালক অজ্ঞাত পরিচয় চোরেদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। মহন্ত রাম বলক দাস জানান, মন্দিরের তালা ভেঙে চোরেরা অষ্টধাতুর তৈরি ভগবান শ্রী রামের ৫ কেজির মূর্তি, পিতলের রাধাকৃষ্ণ ও বালাজির মূর্তি এবং লাড্ডু গোপালের মূর্তিসহ নগদ টাকা ও রূপার জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে।
মন্দিরের মহন্ত রাম বলক দাস আরো জানান, কয়েকদিন পর সকালে ঘুম থেকে উঠে গরুদের চারণ-জল দিতে গেলে তিনি একটি চিঠি পান। যেখানে মন্দির থেকে চুরি হওয়া মূর্তিগুলির উল্লেখ ছিল। চিঠি পড়ে বাড়ির বাইরে একটি ঝুড়িতে বস্তার ভিতর মূর্তিগুলো পাওয়া যায়। এতে পিতল ও তামার ১২টি মূর্তি ছিল কিন্তু অষ্টধাতুর দুটি মূর্তি ছিল না।
মহন্ত জানান, প্রতিমাগুলো তিনি কোতোয়ালি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। সিও সিটি শীতলা প্রসাদ পান্ডে জানান, চোরেরা ১২টি মূর্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। মনে হয় মন্দিরে কোন অষ্টধাতু মূর্তি ছিল না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।