ইন্দোর থেকে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে এক বিধবা তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন এক যুবক। এদিকে বিয়ের পর থেকেই পিরিয়ডের অজুহাতে ওই মহিলা ছুঁতে দিতেন না স্বামীকে! এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই যা ঘটলো তাতে স্বামী এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন।
ইন্দোরে বিয়ের নামে ঠগ রূপি বধূর শিকার হলেন এক যুবক। বিয়ের এক সপ্তাহ পর টাকা ও গয়না নিয়ে পালায় কনে। এখন বর, তার পরিবারের সদস্যরা এবং পুলিশ সবাই সেই কনে ও তার দলকে খুঁজছে।
ইন্দোরে যুবককে বিয়ে করার এক সপ্তাহ পরেই কনে ঘরে রাখা নগদ তিন লাখ টাকা, দুটি সোনার ব্রেসলেট, মঙ্গলসূত্র, পায়ের পাতা ও সোনা-রূপার গয়না নিয়ে ফেরার হয়ে যায়। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ প্রতারণা এবং অন্যান্য গুরুতর ধারায় তার সাথে বিয়ে করা যুবতী সহ ওই গ্যাং -এর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে আসামি পক্ষের সবাই পলাতক রয়েছে।
ইন্দোরের বনগাঙ্গা থানার অন্তর্গত রেবতী রেঞ্জের বাসিন্দা বিজয়া পদনা পুলিশের কাছে এই প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানান, তার ছেলে রাহুলের পরিচয় কাজল ওরফে জ্যোতি ও রাধেশ্যাম নামের দুজনের সাথে হয়। এসব লোকজন দালালি করে বিয়ে করতো। দলটি তার ছেলেকে এর শিকার বানিয়েছে। পুলিশ বিজয়া পদনার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যায় এই ঠগিদের একটি দল। কিন্তু এতে আরো অনেকে অন্তর্ভুক্ত।
দালালদের মাধ্যমে বিজয়া পদনার ছেলে ছেলে রাহুলের সঙ্গে বিয়ে হয় ললিতা নামের এক মহিলার। বিয়ের পর রাহুলকে কাছে আসতে দেয়নি সে। পিরিয়ডের অজুহাত দেখিয়ে সে নিজেকে তার থেকে দূরে রাখত। সাত দিন পর নগদ তিন লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
ইন্দোরের বনগাঙ্গা থানা যখন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে, তখন এই ঠগি কনের বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা গেছে সে আগেও এই কাজ করেছে। অভিযুক্তরা কনে ললিতাকে বিধবা বানিয়ে বিয়ে দিয়েছিল। আর এতে পরিবারের সদস্যের ভূমিকায় যোগ দিয়েছিলেন কিছু মানুষ। জানা গেছে, বিয়ের আগে বাগদান ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান হয়েছিল ছত্তিশগড় ভিলাইয়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য ছত্তিশগড়েও একটি দল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য পায়নি পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, এটি একটি বড় গ্যাং, যার সঙ্গে বহু লোক জড়িত।