স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সমানে সমানে। দায়িত্বের ভাগাভাগিও সমান সমান। দু’জনেই প্রতিশ্রুতি দেয় একে অপরকে যে প্রতিটি সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে। কিন্তু সাধারণত দেখা যায় দাম্পত্যে স্ত্রীকে বেশি ত্যাগ করতে হয়। গৃহস্থালির কাজ হোক বা অন্য কোনো দায়িত্ব, মহিলাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় স্ত্রীরা এতে বিরক্ত হয়। কিন্তু স্বামী কাজে সাহায্য না করায় এই মহিলা যা করলেন এমনটা দেখা যায়না। রাতের রান্নায় সাহায্য না করায় এক স্ত্রী স্বামীকে খুন করে তারপর দেহটি কেটে প্যানে রান্না করেছেন। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খুনের আসামি তেরেসা সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তিনি তার অলস স্বামীর প্রতি বিরক্ত ছিল। সে প্রথমে তার স্বামীকে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে। এরপর তাকে খুন করে। এতেও তার মন ভরেনি, তাই সে তার স্বামীর দেহকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটি বড় প্যানে সিদ্ধ করল। বলা হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে সার্বিয়ার জারানজানিনের। গত ১০ মে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় এই ঘটনা ঘটে। যেখানে একা এক ডিনার রান্না করতে গিয়ে রেগে গিয়ে এক মহিলা তার স্বামীকে খুন করেছেন।
তেরেসা যখন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তখন তার মেয়েও সেখানে ছিল। সে তার মায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সে বলেছে যে কিভাবে সে নিজের চোখে দেখেছে তার মা তার বাবাকে হত্যা করেছে। মেয়েটির নাম ডি’এলজে। তিনি তেরেসার প্রথম স্বামীর মেয়ে। সে তার সৎ বাবার হত্যাকান্ড নিজ চোখে দেখেছে। তিনি জানান, হত্যার সময় তার বাবা মাতাল ছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি বিপদের আভাস অনুভব করতে পেরে যান এবং সাবধান হওয়ার চেষ্টা করেন। সে তার জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল এবং তার মা তাকে ক্রমাগত ছুরি দিয়ে আঘাত করছিল, মেয়েটি তার বয়ানে জানায়।
তেরেসা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামীর অলসতায় তিনি বিরক্ত। তার স্বামী তাকে গৃহস্থালির কাজে মোটেও সাহায্য করতেন না। এর জের ধরে দুজনের মধ্যে অনেক ঝগড়া হতো। দম্পতির লড়াইয়ের কথা তাদের প্রতিবেশীরাও শুনেছেন। সম্প্রতি ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর বিছানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন টেরেসা। সেই ঘটনায় স্বামীর জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু এবার আর বাঁচতে পারেননি তার স্বামী। বর্তমানে তেরেসা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।