প্রেমে অন্ধ এই প্রবাদ তো সকলেই শুনেছেন। কিন্তু প্রেমে অন্ধকার এমনটা শুনেছেন কি? এমন একটা আজব ঘটনার খবর সামনে এলো বিহার থেকে। যেখানে একটি গ্রামের ভারপ্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান নিজের প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাবার আগে পুরো গ্রামের কারেন্ট অফ করে দিয়ে যেতেন। অর্থাৎ পুরো গ্রামে লোডশেডিং হয়ে থাকতো। কিন্তু কেন এমন করতেন? জানুন পুরো বিষয়টা!
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই আজব ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামে। গত বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে গ্রামবাসীরা সন্ধ্যায় প্রায় দু-তিন ঘণ্টা লোডশেডিং এর যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে। তাদের গ্রাম বাদে অবশ্য বাকি গ্রামে কারেন্ট সেভাবে যেত না। ব্যতিক্রম শুধু তাদের গ্রাম।
বিষয়টা কি জানতে ইলেকট্রিসিটি অফিসে খবর নেয় কয়েকজন। তারাও শুনে অবাক হয়ে যায় বিষয়টি। কে ওই গ্রামে সন্ধ্যা হলেই বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছেন? বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যান তারাও।
গ্রামবাসীরা তখন সিদ্ধান্ত নেয় তারাই কয়েকজন মিলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবে। এইভাবে তারা সন্তর্পনে নজর রাখা শুরু করে। এতেই সামনে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রামবাসীরা দেখেন সন্ধ্যা হলেই গ্রামের একটি স্কুলের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছেন ইলেকট্রিশিয়ান। তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাঁর উপর চড়াও হন।
মারধর করা হয় তাকে। গ্রামবাসীদের প্রবল ক্ষোভের মুখে সে যুবক জানান তিনি কেন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতেন রোজ। তিনি বলেন যে গ্রামের রাস্তায় আলো থাকলে তিনি তার প্রেমিকার সাথে ঘুরতে পারতেন না লোকে কি বলবে সেটা ভেবে। অন্ধকার থাকলে তারা দেখা করতেন এবং ঘুরতেন। তাই গ্রামে লোডশেডিং করাতেন তিনি। এই কথা শুনে চটে গেলেও ওই যুবক ও তার প্রেমিকার চার হাত এক করার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামবাসী। গ্রামবাসী মারার রাম মুর্মু বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানা, ‘ গ্রামের সরপঞ্চ ও অন্যান্য গ্রাম পরিষদের সদস্যরা দাড়িয়ে থেকে ওই ইলেকট্রিশিয়ান যুবককে তার প্রেমিকার সাথে বিয়ে দিয়েছে।’ এ বিষয়ে প্রশাসন জানিয়েছে তাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তারা যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।