করোনা মহামারীর শুরু থেকে স্যানিটাইজার ব্যবহার বিপুলভাবে প্রচলিত হয়। প্রত্যেক জায়গায় ঢোকার আগে, বেরোনোর আগে এমনকি কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। বলাই বাহুল্য গত দু’বছর ধরে এই স্যানিটাইজার নিয়ে কম বিভ্রাট ঘটেনি। মহামারীর শুরুর দিকে নেশা করতেও স্যানিটাইজার খেয়েছিল মানুষ এবং তার ফল হয়েছিল ভয়াবহ। এছাড়াও স্যানিটাইজার ঘিরে নানা কথা মাঝেমধ্যেই সামনে আসে। তেমনই একটি ঘটনা আবারো সামনে এলো।
জল পিপাসা পেয়েছিল। এদিকে রাখা ছিল জলের জায়গায় স্যানিটাইজার। সেই স্যানিটাইজারই জল ভেবে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েক জন ছাত্র। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের ইয়ামনশির একটি স্কুলে।
পড়ুয়ারা স্যানিটাইজার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়। পুলিশ এসে খতিয়ে দেখে ঘটনাটি কি। জানা যায় জাপানের একটি স্কুল তাদের ছাত্র দের জন্য একটি হাঁটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেই প্রতিযোগিতায় ৫০০০ মিটার হাঁটতে হতো। এই প্রতিযোগিতায় ওই স্কুলের বহু পড়ুয়া অংশ নিয়েছিল। যে পথে এই হাঁটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে কিছুটা দূরত্ব অন্তর অন্তর পড়ুয়াদের জন্য জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যাতে কারো ডিহাইড্রেশন না হয় সেই জন্য এই ব্যবস্থা করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু জলের কাউন্টারগুলির মধ্যে একটি কাউন্টারের জলের বদলে ভুল করে স্যানিটাইজার রেখে দেওয়া হয় পেপার কাপে। আর সেখান থেকে তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে জলের জায়গায় স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেন বেশ কয়েক জন পড়ুয়া। স্যানিটাইজার খাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই তারা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। কিছুটা হাঁটার পরে বমি হতে থাকে তাদের। বিষয়টি কি হয়েছে বুঝতে না পেরে দ্রুত তাদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, অসুস্থ পড়ুয়ারা কোনো কারণে জলের জায়গায় স্যানিটাইজার খেয়ে ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জলের জায়গায় কিভাবে স্যানিটাইজার রাখা হল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে ইয়ামনশির গভর্নর কোতারো নাগাসাকি।