কোথাও যাওয়ার সময় লোকেরা প্রায়শই হোটেল বা লজে ওঠে। তবে কোনো হোটেলে বুকিং করার আগে বেশিরভাগ মানুষই ইন্টারনেট ঘেঁটে হোটেলের ওয়েবসাইটে যান এবং হোটেলটি কেমন সেটি পর্যালোচনা করে থাকেন। তার আগে, যেসব গ্রাহকরা সেখানে গিয়েছিলাম তাদের অভিজ্ঞতা দেখে, তারপর তারা একটি নতুন জায়গায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ হল নিরাপত্তা এবং আরামদায়ক কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া। টাকা খরচ করে যে কেউ আরামে বসবাস করতে চায়। কিন্তু একটি হোটেলে উঠে মহিলার রাত যে এমন দুঃসহ ভাবে কাটবে সেটা হয়তো ভাবেন নি তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড হোটেলে আইভি অ্যালড্রিজ নামের একজন মহিলা হোটেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং অবহেলার জন্য তাদের আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল। আর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পরই তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। আসলে মহিলার অভিযোগ ছিল যে হোটেলের ঘরে বিছানার মধ্যে এমন ছারপোকা ছিল, যা ঘুমানোর সময় তার সারা শরীর লাল করে দেয়। শরীরে দাগ পরে যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে হোটেলটিরও বদনাম হবে, তাই হোটেল ম্যানেজমেন্ট মহিলাকে ৭৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে।
বিষয়টি ২০১৮ সালের যা সম্প্রতি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। হোটেল রুমে বেডবাগের উপস্থিতি জনিত সমস্যাটি ভাগ করে নেওয়ার সময় মহিলাটি তার কিছু ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে বেডবগের কামড়ের চিহ্ন এবং পরিণতি দৃশ্যমান ছিল। অ্যালড্রিজের মতে, রাতে গভীর ঘুমে ঘুমানোর সময় ছারপোকাগুলো তাদের কামড়াতে শুরু করে, যার ফলে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তিনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে কষ্ট অনুভব করেন। শুধু তাই নয়, ছারপোকারা তারা আনা জামাকাপড়েই ঢুকে পড়েছিল, যার কারণে বদলানোর মতো কাপড়ও তার কাছে ছিল না। হোটেল তাকে মিথ্যা বলার জন্য পাছে অভিযুক্ত করে, তাই অ্যালড্রিজ তার শরীর এবং তার পোশাক নষ্ট হওয়ায় ছবিও পোস্ট করেছেন।
ডিজনি লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে বলেছে যে মামলার খরচ এড়াতে নিষ্পত্তির পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল। ডিজনি আরও বলেছে যে হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা মেয়েদের হোটেলের পরিবেশ নিরাপদ এবং ছারপোকা মুক্ত রাখবে। প্রকৃতপক্ষে, মামলা দায়েরকারী মহিলা দাবি করেছিলেন যে সংস্থাটি তার হোটেলকে নিরাপদ ও পরিপাটি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, যার জন্য তাকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।