সৎমাকে পছন্দ নয় বলে বিরূপ মন্তব্য করেছিল মাত্র চার বছরের শিশুকন্যা। সেই রাগেই নাকি ওইটুকু শিশুকন্যাকে কুয়োতে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলল তার সৎ মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় থানার কুন্ডা এলাকার রাজনপুর গ্রামের। অভিযুক্ত মহিলার নাম শান্তি দেবী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কুন্দার রাজনপুর মহল্লার বাসিন্দা দীনেশ সরোজের চার বছরের মেয়েটি নিখোঁজ ছিল বলে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজছিলেন। বুধবার সকালে কুয়ায় লাশ দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। প্রতিবেশীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা কচি গলার সেভ পাপা, সেভ পাপা (বাবা বাঁচাও) আওয়াজ শোনা গেলেও লোকজন তাতে বিশেষ আমল দেয়নি। এরপর বাচ্চা মেয়ে কাব্যের লাশ রেললাইনের পাশের একটি কুয়োর ভেতরে পাওয়া গেলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দীনেশের অভিযোগ, তাঁর সৎ মা তাঁকে কুয়োয় ফেলে মেরেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
শহরের রাজনপুর মহল্লার বাসিন্দা দিনেশ সরোজ পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। কয়েক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। রেখে যায় তাদের শিশু কন্যাকে। তারপর থেকে তিনি একাই তার চার বছরের মেয়ে কাব্যকে বড় করেছেন। চার মাস আগে তিনি শান্তি নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। পারিবারিক সূত্রে অভিযোগ সৎ মেয়ের সাথে মায়ের বিশেষ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল না। মায়ের প্রতি নাকি মাঝেমধ্যে বিরূপ মন্তব্য করতো বছরের শিশু কন্যা। ওইটুকু শিশুর কথা শুনে রাগারাগি করতো তার সৎ মা শান্তি দেবী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দীনেশ কাজ থেকে ফিরে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে স্নান করতে যান। এর পর কাব্য উধাও। এরপর বিপর্যস্ত বাড়ির লোকসহ প্রতিবেশীরা তাকে খুঁজতে থাকে।
এদিকে লোকালয়ের মাঝখান দিয়ে যাওয়া রেললাইনের পাশ দিয়ে বসবাসকারী কয়েকজন জানান, কূপে একটি মেয়ে শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। মৃত বাচ্চাটির বাবা দিনেশের সহ প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শান্তি তাকে কুয়োতে ফেলে দেয়। পুলিশ অভিযুক্ত কে রিমান্ডে নিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।