এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে ঈদের দিন রাতেই। এক যুবকের পাঁচ তলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। পাশাপাশি আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিলজলার তারিখানা মোড় এলাকায় এই ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতের নাম মিঠুন দাস (২৪)। অন্য যে যুবক আশঙ্কাজনক ছিল তাঁর নাম পাপ্পু রাম এখন সে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আবার পাপ্পুর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবী যে , পাপ্পুই মিঠুনকে ঠেলে নীচে ফেলে দিয়েছেন। তারপর নিজেও পড়ে গিয়েছেন টাল সামলাতে না পেরে। আসলে ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল , তিলজলা থানার পুলিশ সেটাই খতিয়ে দেখছে।
সেদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে তখন বাজে সাড়ে ন’টা। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, আচমকাই ঝুপ করে কিছু একটা পড়ার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন তাঁরা। সাথে গোঙানীর তীব্র শব্দ। সাথে সাথেই তারা ছুটে এসেছিলেন সেখানে , তখন দেখেন রক্তারক্তি কান্ড, মিঠুন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মুখ থুবড়ে। তাঁর পাশেই পড়ে ছিলেন পাপ্পু রাম। তিনিও খুব কাতরাচ্ছিলেন। অবশ্য কোনও সাড় ছিল না মিঠুনের শরীরের।
স্থানীয়রাই তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর চোট রয়েছে পাপ্পু রামের কোমরে। তাঁরও আশঙ্কাজনক অবস্থা। ওই দুজনকে রাতে যাঁরা উদ্ধার করেছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন , দুজনেই মত্ত ছিলেন। তাঁরা সেটা বুঝতে পেরেছিলেন।
নিহত মিঠুনের পরিবারের সদস্যদের দাবী যে , হয়তো ছাদে কোনও ঝামেলা হয়েছিল মিঠুনের পাপ্পুর সঙ্গেই। কোনওভাবে ধাক্কা মেরে পাপ্পুই মিঠুনকে নীচে ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর নিজেও পড়ে গিয়েছেন ভার সামলাতে না পেরে। কিংবা এও , মিঠুনও পাপ্পুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বাঁচবার জন্য, তাতে একসঙ্গে পড়ে গিয়েছেন দুজনেই। কিন্তু কেন কী কারণে এই ঘটনা, তার কোনও সঠিক কথা কেউই দিতে পারেননি। ঘটনার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। আপাতত তদন্তকারীরাও পাপ্পুর সুস্থ হওয়ার আশায় রয়েছেন। এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী পাপ্পুই। তাই তদন্তকারীদেরও তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রয়েছে।