ট্রেন থামিয়ে রেখে চালক চললেন কোথায়? শুনলে অবাক হবেন। সব কিছুর মাত্রা ছা়ড়িয়ে গেলেন ট্রেনের ড্রাইভার। স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে নেশার টানে চলে গেলেন তিনি। আর এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো যাত্রীরা!
বিহারের সবস্তিপুর রেলওয়ে বিভাগে ঘটেছে এই চমকপ্রদ ঘটনা। সমষ্টিপুরের হাসানপুর স্টেশনে ট্রেন থামানোর পর মদ খেতে বেরিয়ে যান সহকারী চালক। ফলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্টেশনে ট্রেন থামে। এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনে হট্টগোল শুরু করেন যাত্রীরা। পরে জিআরপি পুলিশ সহকারী লোকো পাইলটকে আটক করে এবং দ্বিতীয় সহকারী চালককে ডেকে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
চালকের করা কীর্তির পর যাত্রীরা বিরক্ত হতে শুরু করলে তারা জিআরপি থানায় খবর দেয়। এরপর প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সেখানে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ উপ-চালককে চায়ের দোকান থেকে মদের বোতলসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। চালকের নাম কর্মবীর প্রসাদ যাদব, যিনি জিতওয়ারপুরের বাসিন্দা শিব সাগর রাইয়ের ছেলে। তার বয়স ৩৩ বছর বলে জানা গেছে।
জানা গিয়েছে ট্রেনটি সমস্তিপুর থেকে সহরসা যাচ্ছিল যা স্টেশন থেকে ৪টে ৫ এ বেরোয় এবং এর পরে ৫.৪১ এ হাসানপুর বাজারে পৌঁছায়, যেখানে ড্রাইভারকে জানানো হয় যে রাজধানী ক্রসিং হতে চলেছে। তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ব্যাস আর দেখে কে, সুযোগ পাওয়া মাত্রই চালক ট্রেন থেকে নেমে হাসানপুর বাজারে অবস্থিত দুর্গা মন্দিরের পাশে একটি দোকানে মদ খেতে যান।
এরপর শুরু হয় সহকারী লোকো পাইলটের খোঁজ। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে মদ্যপ অবস্থায় বাজারের দিকে দেখতে পায় জিআরপি পুলিশ। তিনি এতটাই মাতাল ছিলেন যে ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলেন না। জিআরপি পুলিশ তাকে তল্লাশি করলে তার কাছ থেকে আধা খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এখানে ১ ঘণ্টা ৭ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় গরমে তিতিবিরক্ত হয়ে যাত্রীরাও তোলপাড় শুরু করেন। পরে, স্টেশন মাস্টার একই ট্রেনে ভ্রমণকারী সহরসার সহকারী লোকো পাইলটকে নির্দেশ দেন যাতে ৬টা ৪৭ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সমষ্টিপুর রেল বিভাগের ডিআরএম অলোক আগরওয়াল। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই সহকারী লোকো পাইলটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।