বছর বারো আগে পুরুষাঙ্গ খসে পড়েছিল এক বিরল রক্তজনিত অসুস্থতার কারণে। কিন্তু ৪৭ বছর বয়সী ম্যাকলম ম্যাকডোনাল্ড এখন আবারও খুশি! তিনি তার পুরুযাঙ্গ ফিরে পেয়েছেন কিন্তু তার পরিবর্তিত স্থান হয়েছে তার হাতে।
২০১০ সালে নরফোকের বাসিন্দা ম্যাকলমের পুরুষাঙ্গ চলে যায় একটি অদ্ভুত কারণে। এই সত্য ঘটনাটি ম্যালকম ম্যাকডোনাল্ডের, যিনি পেশায় ব্রিটেনে বসবাসকারী একজন মেকানিক। ম্যাকডোনাল্ড একটি গুরুতর রক্তের সংক্রমণের কারণে তার যৌনাঙ্গ হারিয়েছিলেন। তবে, এখন তিনি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হয়েছেন যার হাতে যৌনাঙ্গ রয়েছে।
ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন যে 2014 সালে, তাঁকে দীর্ঘস্থায়ী পেরিনিয়াম সংক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তিনি বলেন “এতে আমার হাত পায়ের আঙ্গুল কালো হয়ে গেছিল। এমনকি আমার যৌনাঙ্গও কালো হয়ে যায়। কিছুদিন পর, ম্যাকডোনাল্ডসের এই সংক্রমণ এতটাই মারাত্মক হয়ে ওঠে যে তার পুরুষত্বও হারিয়ে যায়। এর পর ম্যাকডোনাল্ড চরম মানসিক চাপে পড়েন এবং প্রচুর মদ্যপান শুরু করেন।
‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ম্যাকডোনাল্ড বলেছিলেন যে “আমি কয়েক বছর ধরে সংক্রমণের সাথে লড়াই করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না কি হতে পারে। আমি আতঙ্কিত হয়েছিলাম যখন আমি দেখলাম যে আমার লিঙ্গ কালো হয়ে গেছে।”
“এটি একটি হরর সিনেমার মত ছিল। আমি ভয়ানক আতঙ্কিত ছিলাম। ২০১৫ সালে, হঠাৎ একদিন ম্যাকডোনাল্ডের লিঙ্গ খসে ‘মেঝেতে’ পড়ে যায়, যদিও অণ্ডকোষ অক্ষত ছিল। ম্যাকডোনাল্ড লিঙ্গটি তুলে বিনের মধ্যে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, “আত্মবিশ্বাস না থাকায় আমার জীবনটা অন্যরকম হয়ে গেছে। আমি খুব বেশি মদ খাওয়া শুরু করলাম। আমি পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম, আমি কারো মুখোমুখি হতে চাইনি।”
ম্যালকম তারপর একদিন এমন একজন বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পারেন যিনি একবার একজন পুরুষের জন্য ‘বায়োনিক লিঙ্গ’ তৈরি করেছিলেন যে কোনো পুরুষাঙ্গ ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডেভিড রালফ ম্যালকমকে ‘পেনিস মাস্টার’ সম্পর্কে জানিয়েছেন। রাল্ফই ম্যালকমকে বলেছিলেন যে আপনার আর্ম গ্রাফ্ট ট্রিটমেন্ট দরকার। দুই বছর লাগতে পারে। এর থেকে আশার আলো দেখতে পেলেন ম্যালকম। প্রক্রিয়াটির জন্য প্রায় $65,000 খরচ হবে বলা হয়েছিল।
এরপর সার্জন ম্যালকমের নিজস্ব রক্তনালী এবং স্নায়ু ব্যবহার করে একটি নতুন লিঙ্গ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন। পুরুষাঙ্গের জন্য চামড়ার ফ্ল্যাপটি ম্যালকমের ডান হাত থেকে নেওয়া হয়েছিল। এর পর যৌনাঙ্গটি পাশে লাগানো হয়। কিন্তু সেটিকে তার যথাস্থানে ফিরিয়ে আনা যায়নি। জটিল এক অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে সেই কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ বসিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পুরুষাঙ্গ নাকি বসানো হয়েছিল তাঁর হাতে!অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা দুপায়ের মাঝে পুরুষাঙ্গটি বসানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে ম্যালকম এতে খুশি। তিনি তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন।