রায়বেরেলির এক মুসলিম মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। মহিলাটি বলেছেন যে তার স্বামী তাকে বিয়ের পর থেকে তিনবার তিন তালাক দিয়েছেন এবং দুইবার তার দেওর তার হালালা করেছেন। মিল এরিয়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা এই মহিলা তার স্বামী যখন তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য তিন তালাক দেওয়ার চেষ্টা করেন তখন বিদ্রোহ করে বসেন
আসলে, তৃতীয়বার স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পর হালালা করার চেষ্টা করছিলেন তার দেওর বুধাই। এরপর সেই মুসলিম মহিলা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। মাতৃগৃহে পৌঁছেই সিও সিটিকে পুরো যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা জানান ওই মহিলা। সিও সিটি বন্দনা সিংয়ের নির্দেশে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ২০১৫ সালে মোহাম্মদ আরিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর তিনি তাঁকে তিনবার তালাক দেন। প্রতিবার সম্পর্কে দেওর মোহাম্মদ জাহিদের সঙ্গে তাঁকে হালালা করা হয়। এরপর তিন মাস পর আবার ইসলামিক আইন মেনে মোহাম্মদ আরিফের সঙ্গে বিয়ে হয়। এরপর আবার ডিভোর্স। দেওরের সাথে দুবার হালালা করানোর পর তৃতীয়বার তারা আবারও ভাইয়ের সাথে হালালা করতে তাঁকে জোর করেন। সেই সময় ওই মহিলা আর সহ্য না করতে না পেরে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে বাবার বাড়ী চলে আসে।
নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, ‘ তাদের কথা মেনে এমনটা না করলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুলিশের সহায়তা নিতে বাধ্য হন তিনি। তবে তার প্রাথমিক আবেদনের কোনো শুনানি হয়নি। নির্যাতিতা জানান, এর পর তিনি এসপি অফিসে যান, তারপর সিও-র সঙ্গে দেখা করেন।
এ ব্যাপারে সিটির সিও বন্দনা সিং বলেন, “একজন মহিলা এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী একবার তালাক দিয়েছিলেন, যার কারণে তার ভাই তার হালালা করেছিলেন। বারবার বিয়ে করে একইভাবে তিন তালাক দিয়েছেন। এরপর হালালা ও পুনরায় বিয়ে হয়। তৃতীয়বারের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করার সময় তিনি আমার সামনে হাজির হন।”
সিও সিটি বন্দনা সিং বলেছেন, ‘মহিলা আমাকে বলেছিলেন যে দ্বিতীয় হালালাটি ছেলেটির ভাইয়ের সাথে হয়েছিল, আমি এই বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সাথে সাথেই এটির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি, অভিযুক্তদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।’