বয়সের সাথে সাথে পুরুষের যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যৌন জীবনের প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করে । শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় যেমন, পরিমান কমে যায় শুক্রাণুর। অনেক সময় লেগে যায় যৌন প্রক্রিয়া শেষ হতে । কিছু সময়ের মধ্যেই বীর্যপতন হয়ে যায়। প্রায় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় চলে যায় স্বাভাবিক হতে। যদিও যৌন জীবন অনেকটাই মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল হয়। যদিও বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানসিক ও শারীরিক দুই অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। যৌন ইচ্ছাও কমতে থাকে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের হ্রাস:
বয়সের সাথে সাথে টেস্টষ্টেরণ হরমোন কমতে থাকে। আসতে আসতে কমেই যায় টেস্টেস্টেরন হরমোন। এর পাশাপাশি যৌন ইচ্ছাও কমে যায়। কিন্তু এখন টেস্টেস্টেরন প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থাও সম্ভব হয়েছে। এভাবে অনেকেই যৌন জীবন উপভোগ করেন। যোগ ব্যায়ামের থেকেও সুফল মিলতে পারে।
শারীরিক অসুস্থতা:
কোনও শারীরিক অসুস্থতাও কারণ হতে পারে। জীবনে রক্তচাপ বাড়ার কারণেও অনেক সময় যৌনতায় অনীহা দেখা দিতে পারে। যাঁদের হার্টের অসুখ থাকে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পর। এছাড়া এই একই সমস্যা দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও।
ব্যথা
অনেক সময় স্বাভাবিক যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন না অনেকেই আর্থারাটিস, ব্যাক পেন ইত্যাদি ব্যথার কারণেও। ব্যথা বেড়ে যায় অনেক সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার সময়।
অসংযম জীবনযাপন
বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় বয়স বাড়ার সাথে সাথে। অনেকেই এমন থাকেন যারা মূত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাই এই অস্বাভাবিক অবস্থা যৌন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে শরীরের অনেক অঙ্গে সংযম কমতে থাকে যার ফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে।
বিভিন্ন ওষুধ
বিভিন্ন রোগ এসে জমা হয় শরীরে। বয়স হলেই বিভিন্ন ওষুধ বিভিন্ন রোগের আর সেই বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যার ফলে স্বাভাবিক যৌন জীবন অনেক দূরের কথা , সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতেও পারেন না অনেকেই।