Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

স্বামী মারা যাবার পর ঘর থেকে বেরোচ্ছিল না স্ত্রী ও মেয়ে! ৩ দিন পর সকলে দেখল ভয়াবহ দৃশ্য

মাঝখানে সময় পার হয়েছে মাত্র তিন দিন। এরই ভেতরে মর্মান্তিক ভাবে মারা গেলেন একই পরিবারের তিন তিনজন। হাওড়ার নাজিরগঞ্জের পোদরা সরকার পাড়ায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। গত ২৬ শে এপ্রিল মারা গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা বিমলেন্দু মিত্র। এর তিন দিনের মাথায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হলো তার স্ত্রী ও মেয়ের পচা-গলা দেহ। এমন ঘটনায় হতবাক তাদের পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজন সকলেই। কিন্তু কেন?

বহুদিন ধরে হাওড়ার নাজিরগঞ্জের নিজের পঁয়ষট্টি বছর বয়সী স্ত্রী সোমা মিত্র ও ৩৬ বছর বয়সী অবিবাহিতা মেয়ে অমৃতাকে নিয়ে বসবাস করতেন বিমলেন্দু বাবু। অনেকদিন ধরে তিনি কিডনির অসুখেও ভুগছিলেন। বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থতা বাড়ে তার। তার স্ত্রী ও মেয়ে তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য বহু চেষ্টা করছিলেন। হাওড়াই এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তিও করান বিমলেন্দু বাবুকে। কিন্তু কিছুতেই কিছু কাজ হয়নি। গত ২৬ এপ্রিল মারা যান তিনি। এরপর সেইদিনই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তার।

এরপরই গত তিনদিন ধরেই বাড়ির সব দরজা-জানালা বন্ধই ছিল। তিনদিন পর বিকাল থেকে ওই বাড়ির আশেপাশে তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করেন প্রতিবেশীরা। কিছু একটা অস্বাভাবিক সন্দেহ করে নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ পৌঁছে ডেকে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখে একটা ঘরের বিছানায় পড়ে রয়েছে স্ত্রী সোমা মিত্রর নিথর দেহ। তার প্রাণহীন শরীরের পাশেই রয়েছে স্বামীর ডেট সার্টিফিকেট। পাশের একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে অমৃতা মিত্রর নিথর দেহ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান বাড়ির গৃহকর্তার মৃত্যু শোক সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মা ও মেয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

Related posts

বিয়ের আসরে হাজির প্রথম স্ত্রী! দেখা মাত্রই ভয়ে মণ্ডপ ছেড়ে পালালো বর

News Desk

করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে বিরুদ্ধে অনেক কার্যকর কোভাক্সিন, জানালো ICMR

News Desk

এখানকার লোকেরা অতিথিদের তাদের স্ত্রীদের সাথে শুতে অনুমতি দেয়, মহিলারা সবচেয়ে সুন্দর!

News Desk