বছর চারেক আগে বাড়ির পছন্দ করা মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু বিয়েটাকে ঠিক মন থেকে মেনে নিতে পেরেছিলেন বলা যায় না। কেননা ওই ব্যক্তি নিজের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল রেখেছিল যে স্ত্রী যথেষ্ট সুন্দরী নন। তাও ভাল মন্দ মিশিয়ে কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু মাস তিনেক আগে স্ত্রী জানান যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারে আসতে চলেছে নতুন সদস্য। এই খবরে দুই পরিবারের লোকেরা খুব খুশি হলেও স্বামী যে পুরোপুরি খুশি হয়েছিল সেটা নয়। তাই বলে তিনি যে এমন পরিকল্পনা করতে পারেন সেটা কেও দুঃস্বপ্নতেও ভাবেনি।
স্ত্রী যথেষ্ট সুন্দরী নয় তার চোখে। যদি আগত সন্তানও দেখতে ভালো না হয়। মনের এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে গর্ভবতী স্ত্রীকে রাতের আধারে খাইয়ে দিলেন বাথরুম পরিষ্কারের অ্যাসিড (Bathroom Cleaner Acid)। অ্যাসিড খাবার পর স্ত্রী আর বাঁচেনি। এরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেন যুক্তি অভিযুক্ত ব্যক্তি। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানা(Telangana)-র নিজ়ামাবাদে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিজ়ামাবাদের ভারনি মন্ডলের রাজপেট ঠান্ডা এলাকার বাসিন্দা তরুণ নামক যুবকের সাথে পরিবার থেকে সম্বন্ধ দেখে বিয়ে হয় ওই কল্যাণী নামক ওই তরুণীর। কিন্তু কল্যানীকে কোনদিনই পছন্দ করেনি তরুণ। পরিবারের চাপে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দাম্পত্য যে খুব একটা সুখের তা বলা যায় না। এমনকি বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্যও চাপ দেওয়া হতো। মাস তিনেক আগে গর্ভবতী হয়ে পড়েন কল্যাণী। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মাত্রা সেই সাথে বাড়তে থাকে।
গত মঙ্গলবার রাতেও স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণে রাগারাগি হয় তরুণের। এরপরই তিনি স্ত্রীকে জোর করে বাথরুম পরিষ্কার করার অ্যাসিড খাইয়ে দেন ওই যুবক। কল্যাণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নিজ়ামাবাদের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপরে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কল্যাণীর মৃত্যুর পর পুলিশের কাছে অভিযোগ নিয়ে যায়। পনের জন্য অত্যাচার এর অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই তরুণ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাদের মেয়েকে অ্যাসিড খাইয়ে খুন করার অভিযোগ করাও হয়। ৩০২, ৩০৪-বি, ৪৯৮-এ ধারায় অভিযুক্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও অভিযুক্ত পলাতক ,তাই তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।