পড়াশুনো জীবনের দ্বিতীয় সবথেকে বড় পরীক্ষা অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক। আর এই উচ্চমাধ্যমিক শেষ তাই সেই আটকে থাকা থেকে মুক্তি পেয়ে আনন্দ করতে ৪জন কিশোর গিয়েছিল গঙ্গা স্নানে। আর অঘটন টা ঠিক এরপরই ঘটল। গঙ্গায় স্নানে গিয়েছিল ওই ৪ জন কিশোর কিন্তু ফিরলোনা তাদের মধ্যে দুজন। ওই ঘটনার পর থেকে সেদিন আর খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই দুজনের। সেখানকার মানুষের এমনটাই ধারণা যে হয়তো গঙ্গা স্নান করতে নামার পর ওই দুজন তলিয়ে গিয়েছে। আবার শেওড়াফুলিতে এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে।
ওই চারবন্ধুর বাড়ি তপসিয়ায়। এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই চারজন বন্ধুই। উচ্চমাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা ছিল সেদিন। পরীক্ষা শেষের আনন্দে সেদিন স্কুল থেকে তারা ফিরেছিল। এতো গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে একটু মুক্তি পেতে তারা বিকেলের দিকে বাজে কদমতলা ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল। আর ওই চারজনের মধ্যে দুজন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। ইসরাফেল আলি এবং মহম্মদ বেলেল নিখোঁজ দুই কিশোরের নাম। এখন ওই দুই কিশোরের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
আবার অন্য একটি ঘটনা আরেক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কে ঘিরে, সেও একইরকম ভাবে জলে ডুবে মারা গেছে। শোকাচ্ছন্ন ওই এলাকা৷ জলে ডুবে মারা গিয়েছে বছর আঠারোর সৈকত সাহা ( পাপাই ) বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুরের সংলগ্ন নিমাডাঙ্গাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সৈকত ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে এদিন পিকনিকের জন্য সব কিছু জোগাড় করে এই নিমডাঙ্গালে । বেলার দিকে স্নানের জন্য তারা ময়ূরাক্ষী নদীর কাছেই একটি পুকুরে স্নান করতে যায় ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদেড় মতে সৈকতের বাকি বন্ধুরা স্নান করতে নেমেছিল কিন্তু যেহেতু সৈকত সাঁতার জানতো না তাই সে পুকুর পাড়ে বসে ছিল। অবশ্য স্নান সেরে বাকি বন্ধুরা ফিরলেও সৈকত আর ফেরেনি। অনেকটা সময় পার হয়ে গেলে সৈকতের খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে সেখানকার স্থানীয়রা দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর সৈকতের দেহ ওই পুকুর থেকেই উদ্ধার করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ওই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারপরে স্থানীয় বাসুদেবপুর হাসপাতলে সৈকতকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সৈকতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।সে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ।পরে সৈকতকে স্থানীয় বাসুদেবপুর হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সৈকতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।