দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের মোদীনগর এলাকায় বুধবার সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক শিশুর। জানা গিয়েছে শিশুটি স্কুল বাসে করে তার বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে বাসে স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তার খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে শিশুটির মাথায়। বলা হচ্ছে এই দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ঘটনাটি ঘটেছে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া অনুরাগ নেহরার সঙ্গে। স্বজনরা জানান, সকালে বাচ্চাটিকে তারা স্কুলের জন্য তৈরি করে ব্যাগ ও টিফিন দিয়ে স্কুল বাসে তুলে স্কুলে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ফোনে তাদের বলে তাদের বাড়ির বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে। এই কথা শুনে পায়ের তলার মাটি সরে যায় তাদের। কারণ হিসাবে তাদের বলা হয় যে শিশুটি বমি করার জন্য স্কুল বাস থেকে তার মাথা নাকি বার করেছিল, সেই সময় রাস্তার একটি খুঁটিতে মাথায় আঘাত লাগার পরে সে মারা যায়। এদিকে বাচ্চাটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার করছে। চালকের ভুলভাবে বাস চালানোর কারণেই তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করছেন মৃতের স্বজনরা। তারা আরও অভিযোগ করেছে যে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের বিভ্রান্ত করেছে এবং শিশুটির অবস্থা কি সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে তাদের জানানো হয়নি। ঘটনায় পরিবারের সকলে শোকে কাতর। এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুলের অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
অপরদিকে তামিলনাড়ুর ভালসারভাক্কাম থেকেও একটি বেদনাদায়ক খবর সামনে এসেছে। এখানে স্কুল ক্যাম্পাসেই মৃত্যু হয়েছে ৮ বছরের এক শিশুর। বলা হচ্ছে, ক্লাস টু এর পড়ুয়া এক শিশুকে ভ্যানে করে স্কুলে ছেড়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। যেই ভ্যানে চেপে শিশুটি এসেছিল সেই ভ্যানেই পিষে যায় সে। বাচ্চাদের স্কুলে নামানোর পর চালক ভ্যান পেছনদিকে করে পার্কিং করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই শিশুটি হঠাৎ ফিরে আসে। এসময় ভ্যানটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।