এলাহাবাদ হাইকোর্ট দুই কিশোরের সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছে। এই ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গেছে একজন মা তার মেয়েকে অন্য একটি মেয়ের থেকে মুক্ত করার জন্য একটি হেবিয়াস কর্পাস আবেদন করেছিলেন, যার শুনানি করে বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। মা মঞ্জু দেবীর দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন নিষ্পত্তি করার সময়, আদালত জানায় যে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রয়াগরাজের আটরসুইয়া থানার বাসিন্দা মা অঞ্জু দেবী আদালতে জানিয়েছেন যে তাঁর মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু তাকে নাকি একেবারেই অন্যায্য আর বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে অন্য একটি মেয়ে। তাই তার মেয়েকে অন্য মেয়েটির কবল থেকে মুক্ত করে দিতেই হবে। আদালতের নির্দেশ দেয় মেয়ে দুটিকে আদালতে হাজির হতে। সেই নির্দেশ মত নির্দিষ্ট দিনে তারা আদালতে হাজির হয়। সেখানে এসে ওই মহিলার মেয়ে আদালতকে জানান যে তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তার বান্ধবীও তাই। দুজনেই পারস্পরিক সম্মতি ও ইচ্ছায় সমকামী বিয়ে করেছেন। তাই তাদের সমকামী বিয়েকে আদালতের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তাদের দাম্পত্য জীবনেও হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু তাদের বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমারের বেঞ্চ। এই মামলার শুনানির সময় পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছিলেন যে ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমকামী বিবাহ অনুমোদিত নয়। আদালত এও বলেছে, কোনো আইনেই সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না, কারণ এই বিবাহ থেকে সন্তান জন্মানো সম্ভব নয়। আদালত সমকামী বিবাহের স্বীকৃতির দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং হেবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি করে।