দেশে বেশিরভাগ লোকের টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। মনে করা হচ্ছিল করোনা সংকট থেকে উদ্ধার পেল দেশ। কিন্তু সেই ধারণা পুনরায় ভুল প্রমাণ করে দিয়ে আবারও দেশে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সংকট ফিরছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক যখন দীর্ঘ সময় পর সারা দেশে খুলছিল স্কুল তখনই আবারও এমন বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। উদ্বেগের বিষয় হল, আগের ঢেউয়ে তুলনায় এবারে এখনও অবধি বেশি শিশু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ হালকা হলেও রাজধানী দিল্লিতে করোনার কারণে চার মাস বয়সী এক শিশু অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই শিশুটি দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসক সুরেশ কুমার জানান, হাসপাতালের চার মাস বয়সী এক শিশু করোনার কারণে অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে।
ডাঃ সুরেশ কুমার স্পষ্ট করেছেন যে দিল্লিতে করোনার কেস বাড়ছে। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এমন রোগীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। তাঁর দাবি, এলএনজেপি হাসপাতালে এখনো পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে। তবে এর সাথে তিনি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, মা-বাবা যদি করোনার টিকা না নিয়ে থাকেন তাহলে তাদের সন্তানের করোনায় ঝুঁকি থেকেই যাবে।
দিল্লি-এনসিআরের প্রসঙ্গে কথা বললে, বলতে হয় এখানে করোনার কেস খুব দ্রুত বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে আবারও নতুন করে করোনার ৯৬৫টি কেস পাওয়া গেছে। দিল্লিতে বর্তমানে ২ হাজার ৯৭০ সক্রিয় রোগী রয়েছে। একই সময়ে, সেখানে পজিটিভিটি হার বেড়ে ৪.৭১ শতাংশ হয়েছে। ইতিমধ্যে, দিল্লি সরকার ঘোষণা করেছে যে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সমস্ত যোগ্য সুবিধাভোগীদের সমস্ত সরকারি কোভিড -১৯ টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে একটি সতর্কতামূলক ডোজ (বুস্টার ডোজ) প্রদান করা হবে।
দিল্লি ছাড়াও আরো অন্যান্য রাজ্য থেকেও একই চিত্র উঠে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গুজরাটের জামনগরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বছরের এক বাচ্চা মেয়ের। অনেক স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে কারণ সেখানকার পড়ুয়ারা কোভিড-এ সংক্রমিত হয়েছে।