বলা হয় বিয়ে জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী একই সাথে সারা জীবন পথ চলার প্রতিশ্রুতি নেয়। কিন্তু একটি বিয়ের পর কনের দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হলো মাত্র ১০ ঘণ্টার জন্য। রাজস্থানের যোধপুর থেকে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে বিয়ের আনন্দের পরিবেশ হঠাৎ করেই শোকের পরিবেশে পরিণত হয়। আসলে বিয়ের পর কনে তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছালে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বিয়ের মাত্র ১০ ঘন্টা পরে তিনি মারা যান। কি হয়েছিল? জানুন!
তথ্য অনুযায়ী, রাজাথানের যোধপুর জেলার কুই জোধা গ্রামে একটি বরযাত্রী বর সমেত শোভাযাত্রা করে আসে এবং বিয়ের পর কনে কে নিয়ে আবারো শোভাযাত্রা করে শ্বশুর গৃহে রওনা দেয়। বিয়ের পর নিজের নতুন জীবন নিয়ে ভীষণ খুশি ছিল মেয়েটি। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান মেয়েটি। পরিবার তাকে বালেসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বালেসার তেনা গ্রামের সুভাষ মেঘওয়াল মঙ্গলবার রাতে কুইজোধা গ্রামের ছগনারামের বাড়িতে বরযাত্রীর ‘বারাত’ নিয়ে উপস্থিত হন। সুভাষ তার স্ত্রী রেখাকে নিয়ে সাত পাকে ঘোরেন এবং বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সকালে বিদায়ের পর নিজের বাড়িতে পৌঁছান। নববধূকে তার শ্বশুর বাড়িতে উষ্ণভাবে স্বাগত জানানো হয় এবং রীতি অনুযায়ী দেব-দেবীর মন্দিরে নতুন বর কনেকে নিয়ে গিয়ে পুজো অর্চনা করা হয়। কিন্তু হঠাৎ সন্ধ্যায় কনে রেখার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এ কারণে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পরিবারে নেমে আসে শোকের পাহাড়।
স্বজনরা জানান, যোধপুরে এখন ভীষণ গরম। এরমধ্যে আগের দিন বিয়ের অনুষ্ঠান, পরের দিন আবার শশুর বাড়ি আসার পর দিনভর নানা দেব-দেবীর মন্দিরে পূজা-অর্চনা শেষে কনে ঘরে এসে প্রচণ্ড গরমে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু অনেকক্ষণ সে না উঠলে বাড়ির মহিলারা তাকে ডাকতে আসে। তখন দেখে সে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে প্রচন্ড গরম থেকেই এমনটা হয়েছে। এই ঘটনায় উভয় পরিবারে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।