যুবকের বয়স ২৮। আর মহিলার বয়স ৪০। একই ইট ভাটায় কাজ করতেন দুজনে। সেখান থেকেই পরিচয়। ধীরে ধীরে বয়সে বড় মহিলার সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ায় ওই যুবক। সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। এরপরই বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন ওই মহিলা। তিন মাসের সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় বিব্রত হয়ে পড়েন ওই যুবক। এরপরেই নেন চূড়ান্ত পদক্ষেপ।
সূত্র অনুযায়ী ওই যুবকের নাম মিঠুন আলী, তার বয়স ২৮। এবং মহিলার নাম জয়নব বেগম, বয়স ৪০। সূত্রের খবর তিন মাসের ঘনিষ্ঠ দু’জনের মধ্যে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরপরে মিঠুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন মহিলা। এমনকি মিঠুন যদি বিয়ে না করে তাহলে তাদের শারীরিক সম্পর্কের কথা সবার সামনে বলে দেবেন বলে জানাতে থাকেন জয়নব বেগম। এর পরেই জয়নবকে নিজের জীবন থেকে সরাতে ছক কষে মিঠুন।
জানা গিয়েছে গত ১৭ই এপ্রিল তারা ভুয়ো নাম মিজান ও জুলেখা ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রীর হিসাবে মিথ্যা পরিচয় ও ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন। জানা গিয়েছে হোটেলটির নাম ড্রিম হ্যাভেন। সেখানেই 403 নম্বর রুম নেন তারা। হোটেলে ঘর নেওয়ার পর প্রথমে তারা শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপরেই প্ল্যানমাফিক জয়নব বেগমকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন মিঠুন। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মিঠুন।
খুনের ঘটনার কথা জানাজানি হলে পুলিশ মিঠুনের খোঁজ করতে থাকে। এরপর গত সোমবার রাতের দিকে নাটোরের আগদিঘা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত মিঠুনকে খুজেঁ গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে তিনি জয়নব বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিঠুনের গ্রেফতার এবং পুলিশের কাছে তার জবানবন্দির কথা নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।