ভালোবেসে মানুষ কি না করে। যেখানে এক স্ত্রী নিয়ে বহু পুরুষের গলদঘর্ম অবস্থা হয় সেখানে তো এই ব্যাক্তির স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে একাধিক বান্ধবী। তাদের দাবি দাওয়া, আবদার পূরণও তো কম কথা নয়। তার জন্য যা করলেন এই ব্যাক্তি তা তাঁকে পৌঁছলো সোজা শ্রীঘরে। জানুন পুরো ঘটনাটা।
দিল্লিতে এক যুবক তার স্ত্রী ও বান্ধবীর চাহিদা মেটাতে একটি গ্যাং গঠন করে ফেলেছিল। এই চক্রটি শহরে বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। পুলিশ এই গ্যাংটির পর্দা ফাঁস করে এবং দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাংস্টার সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এই ডাকাত দলের নেতা আকাশ (বয়স ২৫ বছর) নামে এক যুবক। সে শেখ এহসান আলী (বয়স ২৪ বছর), বদরেলাম (বয়স ২৩ বছর), রাজেশ (বয়স ২৪ বছর) এবং মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন (বয়স ৫২ বছর) এর সাথে মিলিত হয়ে একটি গ্যাং গঠন করে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৪৯ টি দামি হাতঘড়ি, নগদ টাকা পয়সা, ২১ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না এবং কিছু বিষয় সম্পত্তির কাগজপত্র উদ্ধার করেছে।
৩১শে মার্চ এই দলটি আরকে পুরমে এক সরকারি কর্মচারীর বাড়িকে টার্গেট করে। এরপরই এই দলের খোঁজে ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুন্ডুর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে স্পেশাল স্টাফ। দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লীর ডিসিপি মনোজ সি বলেছেন যে এই বিষয়টি উদঘাটন করতে, তারা প্রায় শহরের ৮০০ টি সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেছেন।
পুলিশ অফিসার বলেছেন যে আমরা তথ্য পেয়েছি যে এই গ্যাংয়ের চার সদস্য আর কে পুরমের একটি বাড়ি থেকে গয়না চুরি করেছে। এর মধ্যে একজন সদস্য আমাদের হেফাজতে এসেছে। তার দেওয়া তথ্য অনুসরণ করে আমরা রাজাকারসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। এই সদস্যরা সবাই দিল্লির বাওয়ানার বাসিন্দা। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্যাং লিডার আকাশ তার স্ত্রী ও কয়েকজন বান্ধবীর দাবি দাওয়া পূরণের উদ্দেশে এই ডাকাত দলটি গঠন করেছিল। ডাকাতি করেই সে তার সঙ্গিনীদের আবদার মেটাত। আপাতত যুবক শ্রীঘরে।