চরকের মেলা ঘুরতে গিয়েছিলেন বাচ্চাকে নিয়ে। তার বাইরের আবহাওয়া ঠিক লাগছিলো না। তাই মেলা দেখা ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন বাচ্চাকে কোলের মধ্যে নিয়েই। রাস্তাতে প্রচন্ড ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। তীব্র হতে থাকে বাতাসের গতিবেগ। তাড়াহুড়ো করে কোনও উপায়ে বাড়িতে বাচ্চাকে নিয়ে ফিরতেই চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হলোনা তার। কোল থেকে ছিটকে পরে গেলো বাচ্চা। ওই মহিলার মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পড়লো। ওই ঘটনাস্থলেই মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পরে মৃত্যু ঘটলো। কিন্তু অদ্ভূতভাবেই বেঁচে যায় বাচ্চাটি৷
চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে প্রকৃতি নিজের অন্যরূপ দেখালো। স্বল্প সময়ের ঝড় হল৷ আর এই অল্প পরিষরের ঝড়েই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল আলিপুরদুয়ারের একাধিক এলাকা। জেলার অনেকাংশ ক্ষতির কবলে পড়েছে। পর্যটক, সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ভয়ানক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার এক ভবঘুরে মহিলার এই ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে একজন দুর্ঘটনার শিকার হন।
এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায়৷ আলিপুরদুয়ারের সুপার মার্কেট এলাকায় মৃত্যু হল মহিলার চৈত্রের শেষের কালবৈশাখী ঝড়ে। সুমতি দাস ওই মৃত মহিলার নাম। চড়ক পূজার মেলা দেখে ওই মহিলা বাচ্চা কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঝড়ের কবলে আচমকাই পড়েন তিনি। যাচ্ছিলেন রাস্তার ধার দিয়েই। একটি বিরাট গাছ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ওপর ভেঙে পড়ে। বাচ্চাটি ছিটকে পরে যায় ওই মহিলার কোল থেকে। বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা যতক্ষণে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন, ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনাস্থলেই রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।
সব মিলিয়ে জেলার বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ওই দশ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে । ঝড়ের ফলে বিদ্যুতের সংযোগ ছিঁড়ে যায় তুরতুরী বেলতলা এলাকায়। বিদ্যুৎ না থাকায় বহু এলাকার মানুষজন বিপাকে পড়েন।