উত্তরপ্রদেশ থেকে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর খবর। জানা গিয়েছে সেখানকার মইনপুরীর জেল মোড়ে হঠাৎই বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। সেখানে দাড়িয়ে নিশ্চিন্ত মনে গরমে কোল্ড ড্রিংকস পান করছিল একটি মেয়ে, কিন্তু তার কোমরের দিকে চোখ পড়তেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। আসলে আগ্নেয়াস্ত্র কোমরে গুঁজে সবার সামনে দাড়িয়ে কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছিল এক তরুণী। পুলিশের নজর পরে ওই তরুণীর উপর। তারপরে কি হলো… জেনে নিন পুরো বিষয়টা।
মইনপুরীর জেল মোড়ে কোল্ড ড্রিংক খেতে যাওয়া এক তরুণী আগ্নেয়াস্ত্র সমেত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জেল মোড়ে সফট ড্রিংকস পান করতে গিয়ে মেয়েটি সোয়াট দলের নজরে পড়ে। বিষয়টি বেশ চমকপ্রদ কেননা, মেয়েটি সাথে করে নিয়ে ঘুরছিল দেশীয় তৈরি পিস্তল।
ক্যামেরার সামনে মেয়েটিকে তল্লাশি করা হয়। মহিলা কনস্টেবল মেয়েটিকে তল্লাশি করলে তার কোমর থেকে একটি পিস্তল বেরিয়ে আসে। এরপরে কিশোরীকে সদর কোতয়ালীতে নিয়ে আসা হয়, যেখানে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের পর কিশোরীকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার ভিডিওটি ইদানিং ভাইরাল হচ্ছে।
পুরো ব্যাপারটা কি
সোয়াট টিমের ইনচার্জ বিক্রম সিং তার দলসহ কোতোয়ালি এলাকার জেল মোড়ে উপস্থিত ছিলেন। কাছেই জেল মোড়ে দাঁড়িয়ে এক তরুণী নিশ্চিন্ত মনে কোল্ড ড্রিংকস পান করছিল। কিন্তু মেয়েটির কোমরে ৩১৫ বোরের পিস্তল ঝোলানো ছিল। তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে মহিলা পুলিশকে ডাকা হয়।
তল্লাশির ভিডিওটি ভাইরাল:
মহিলা কনস্টেবল পৌঁছে তল্লাশি করলে মেয়েটির কোমরে লাগানো আগ্নেয়াস্ত্র বেরিয়ে আসে, তখন সেখানে উপস্থিত লোকজন অবাক হয়ে যায়। সিভিল লাইন ফাঁড়ির ইনচার্জ বিপিন তোমরকে ফোন করার পর মেয়েটিকে পিস্তলসহ কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়। কেন পিস্তল নিয়ে ঘুরছে জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি জানায়, পরিবারের লোকজন তার জমি জায়গা দখল করতে চায়। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার বাবা-মা মারা গেছে। তিনি তার নাম কারিশমা কন্যা পুরান সিং বলে জানিয়েছেন, নয়া আদি ফুলবাড়ি থানার দক্ষিণ ফিরোজাবাদের বাসিন্দা। সে তার কাকা যোগেশের সাথে থাকে, যিনি ঘিরর থানা এলাকার ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করে তার জমি দখল করতে চায়, তাই সে তার নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পথে চলাফেরা করে।
ভিডিওটি দেখতে হলে লিংকে ক্লিক করুন :