এই বছরের শুরুতেই ভারতে আছড়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ (COVID Third Wave in India)। নেপথ্যে ছিল করোনা প্রজাতি ওমিক্রন। কিন্তু গত দু আড়াই মাস ধরে ভারতে কমেছে সংক্রমণ। তবে আজ গতকালের তুলনায় সামান্য বাড়লো সংক্রমণ।
বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায়, ভারতে কোভিড-১৯ এর ১ হাজার ৮৮ টি নতুন কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা গতকালের তুলনায় ৩৬.৬ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘন্টায় ৭৯৬টি করোনা সংক্রমনের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আজ যেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৬ জনের মৃত্যুর নথিভুক্ত করা হয়েছে, গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১৯ এ। দৈনিক কোভিড পজিটিভিটির হার হলো ০.২৫ শতাংশ, অন্যদিকে সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ০.২৪ শতাংশ।
করোনা অ্যাক্টিভ কেস অর্থাৎ সক্রিয় মামলার মোট সংখ্যা ১০ হাজার ৮৭০। এটি ভারতে মোট করোনা সংক্রমণের ০.০৩ শতাংশ। করোনা থেকে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১ জন। এখনো পর্যন্ত করোনা কে হারিয়ে সুস্থতার সরকারী সংখ্যা ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৫ হাজার ৪১ জন নিয়ে গেছে।
গত 24 ঘন্টায় মোট ১৫ লাখ ৫ হাজার ৩৩২ টি টিকা দেওয়া হয়েছে এবং দেশে টিকাদান অভিযানের অধীনে এ পর্যন্ত মোট ১,৮৬,০৭,০৬,৪৯৯ টি টিকা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, গত 24 ঘন্টায় ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৮ টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৭৯.৪৯ কোটি পরীক্ষা করা হয়েছে।
‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু যায়নি’
দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকায় অনেক রাজ্য কোভিড বিধিনিষেধ প্রায় বাতিল করেছে। কিছু শহরে আর মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু করোনা নতুন প্রজাতি XE ভেরিয়েন্টটি কয়েকটি রাজ্যে পাওয়া গেছে, যার পরে উদ্বেগ তৈরী হচ্ছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া করোনা ভাইরাসের ‘XE’ ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে শঙ্কা দূর করার চেষ্টা করেছেন, বলেছেন যে এটি একটি অন্য ধরনের ওমিক্রন। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। মান্দাভিয়া বলেছিলেন যে কোভিড -19 এর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাও সরকার ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সেই অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মহামারী এখনো শেষ হয়নি, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।