আপনি নিশ্চয়ই প্রচলিত এক প্রবাদ শুনেছেন যে ‘মিয়ান বিবি রাজি, তো কেয়া কারেগা কাজী’, এমনই কিছু ঘটেছে বিহারের আরওয়ালে যেখানে এক প্রেমিক যুগল পরিবারের সদস্যদের কাছে হেনস্থার শিকার হয়ে থানায় পৌঁছলে সেই থানায় উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা তাদের কষ্ট দুঃখের কথা শুনে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তাদের বিয়ে দেয়।
ঘটনাটি বিহারের কালের থানা এলাকার মহুয়াবাগের। সেখানে কোচিংয়ে পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মোহাম্মদ ফারুক আলম নামের এক যুবক। একে অপরকে মন দেওয়া-নেওয়ার পর প্রায়শঃই দু’জনে দেখা করতে লাগলো এবং একসাথে বিয়ে করে সংসার করার স্বপ্ন দেখতে থাকে।
চার বছর ধরে দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসতেন, কিন্তু দুই পরিবার তাদের প্রেমের বিষয়টি জানার সাথে সাথে তারা তাদের জীবনের শত্রু হয়ে ওঠে। প্রেমে বাধা পড়ার ভয়ে দুজনেই হঠাৎ করে ঘর ছেড়ে চলে যায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হলে যুবক যুবতীর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ।
পুলিশ তাদের ওই অঞ্চলের বিক্রম এলাকা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কেন তারা বাড়ি থেকে পালিয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তাদের যন্ত্রণার কথা পুলিশকে জানায় ওই যুবক যুবতী। প্রেমিক-প্রেমিকার কথা শুনে পুলিশ তাদের ভাবাবেগ বুঝে কাজীকে থানায় ডেকে সেখানে তাদের বিয়ে দেয়। এ সময় পুরো থানা বিয়ে বাড়ির মতন করে সাজানো হয় এবং পুলিশ সদস্যরা হয়ে ওঠেন বরপক্ষ ও কনে পক্ষ। মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী আনানো হয়। ধুমধাম করে দুজনের বিয়ে হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন স্বামী-স্ত্রীকে আশীর্বাদ করেন এবং দুজনেই খুশি হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। এই উপলক্ষ্যে নিকাহনামা পড়ানোর পাশাপাশি, কাজী উভয়কে একে অপরের যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিয়েটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন।
অপরদিকে গত ৫ই এপ্রিল, বিহারের নালন্দায় গোপনে একটি প্রেমিক যুগলকে ধরা হয়। শ্রীরাম নগর গ্রামে এক যুবক তার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে গেলেও মেয়েটির পরিবার তাকে দেখতে পেয়ে যায় এবং গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে ধরে ফেলে। দুজনেই ধরা পড়লে গ্রামেরই মন্দিরে বিয়ে করেন। জানা গেছে, সিলাও থানা এলাকার কাদহদিহের বাসিন্দা অমরজিৎ কুমারের সঙ্গে দীপনগর থানা এলাকার শ্রীরামনগরের এক তরুণীর সঙ্গে চার মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এই দুজন প্রায়ই একে অপরের সাথে গোপনে দেখা করতেন।