স্বামী স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রীর বাপের বাড়ী যাওয়া নিয়ে মাঝেমধ্যে অল্প সল্প মতবিরোধ হয়ে থাকে। কখনো কখনো এও শোনা যায় যে স্ত্রী খুব বেশিদিন বাপের বাড়িতে থাকলে এই নিয়েও অশান্তি হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে থাকা নিয়ে নিজের প্রাণ দিয়ে দিল স্বামী। জানুন পুরো ঘটনাটা।
রাজস্থানের ধোলপুরে স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে সেখানে ঝগড়াঝাটি করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি কোতোয়ালি থানা এলাকার মরোলি গ্রামের, যেখানে মুনেশ নামে এক যুবক তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে একটি খবর সামনে এসেছে।
এ ঘটনার পর নিহত যুবকের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ মুনেশ সিং নামক ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। এ ঘটনায় রবিবার নিহতের স্বজনরা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যার একটি মামলা থানায় দায়ের করেছেন।
ভাইয়ের মৃত্যু পরিপ্রেক্ষিতে নিহত মুনেশ সিং এর দুই ভাই বিজয়পাল সিং ও ভরত সিং জানান, তার ছোট ভাই মুনেশের স্ত্রী গত দুই মাস ধরে মোরোলি গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কিছুতেই শশুর গৃহে ফিরতে রাজি ছিলেন না। শনিবার মুনেশ তার স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিল। মুনেশ তার স্ত্রীকে তার সঙ্গে বাড়িতে আসতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়, এরপর মুনেশ তার স্ত্রীকে জানায় সে না যেতে চাইলেও মুনেশ তার সন্তানকে নিয়ে যাবে। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিতে শুরু করলে মুনেশের স্ত্রী তাকে মারধর শুরু করে। উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর কোতয়ালী থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করার হুমকি দিতে থাকে নিহতের স্ত্রী। এর পর মুনেশ শ্বশুর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। যুবকের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একই সঙ্গে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ভগীরথ সিং জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে যে তাদের পরিবারের ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।