রহস্যজনক এই ব্যাপারটা, বাগুইআটির বাসিন্দা চয়ন সরকার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সম্প্রতি পুরী ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলেন। আর সেই প্ল্যান মতই গাড়ি ভাড়া করেও ছিলেন। সদলবলে পুরী পৌছায় তারা ৬ই এপ্রিল। কিন্তু ৭ই এপ্রিল চয়ন ছাদের থেকে পরে যায়। চয়নের খবর বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই তার মা বাবা পুরী পৌছায়। এই খবর পেয়েই উড়িষ্যা সি বিচ থানার পুলিশ পৌছায় ঘটনাস্থলে আর চয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেছে চয়ন কে। খুনের মামলা দায়ের করেছে ওড়িশা পুলিশ মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে।
ঠিক কি অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারের তরফে? সঞ্জীব সরকার মৃত চয়ন সরকারের (২৫) বাবা পুরীতে পৌঁছয় ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে। বন্ধুদের বিরুদ্ধে সেখানে গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আরও সন্দেহ দানা বাধঁতে থাকে যখন চয়নের বন্ধুরা ওই ঘটনার পর কাউকে কিছু না জানিয়েই চলে আসে কলকাতায়। চয়নের বাবা অভিযোগ করেছেন যে বন্ধুরাই চয়ন কে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে।অভিযোগের পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে পুরীর সি বিচ থানার পুলিশ, পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে শনিবার কলকাতায় আসে ওড়িশার তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই যে গাড়িতে তারা পুরী গিয়েছিল সেই গাড়ির সন্ধান পেয়েছে। অরিজিৎ নন্দী সেই গাড়ির চালক কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওড়িশা পুলিশ এখানে আসে চয়নের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে। স্থানীয় উল্টোডাঙা থানায় তাঁরা জানালে অরিজিৎ নন্দী নামের যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গাড়ি চালিয়ে পুরী নিয়ে গিয়েছিল এই অরিজিৎই সবাইকে। শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয় অরিজিতকে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এখনও খোঁজ চলছে চয়নের বাকি বন্ধুদের । পালিয়ে গেলো কেন তারা? তার ঠিক কী হয়েছিল হোটেলে? চয়নের কীভাবে মৃত্যু হল, এখনও তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।