নাবালিকা প্রেমিকা গিয়েছিলো তার প্রেমিকের বাড়ি। কিন্তু ওই বছর ১৪ এর নাবালিকার মৃত্যু হল প্রেমিকের বাড়ি থেকে ফেরার পরই। ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা এই প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার হাঁসখালি এলাকায় এই ঘটনাটি। হাঁসখালি থানায় এই শনিবার দিনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত সোমবার দিন এই ঘটনাটি ঘটেছিল, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্যাড়াপোতা এলাকার গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যর ছেলে সোহেল গোয়ালি। সেইদিন সোহেলের জন্মদিন ছিল স্বাভাবিক ভাবেই মৃত কিশোরী সেখানে গিয়েছিলেন। ওই কিশোরীকে এক অপরিচিত মহিলা অনেক রাতের দিকে বাড়িতে দিয়ে যায় অসুস্থ অবস্থায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মৃতদেহ ময়না তদন্ত না করেই দ্রুত শেষকৃত্য করে দিতে হয়েছে অভিযুক্তের বাবার চাপেই। হাঁসখালি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। ওই অভিযুক্ত যুবকের পরিবার এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এলাকা ছাড়া।
হাঁসখালির গাজনার বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার জানিয়েছেন , যে পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর ২০ বছরের ছেলে সোহেলের তাদের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত সোমবার বিকেলে তার বাড়িতে যায় ওই কিশোরী। তাকে এক অপরিচিত মহিলা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ওই জন্মদিনের নিমন্ত্রণ থেকে ফিরে আসার পর থেকেই প্রচন্ড অসুস্থ হতে থাকে মেয়েটি, প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ভোরে ওই কিশোরী তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে সেখানেই স্থানীয় এক চিকিৎসকের থেকে ওষুধ আনতে যায় ওই কিশোরীর মা স্থানীয়। ওষুধ নিয়ে বাড়ি আসার পরই দেখে যে মেয়ে মৃত।
মৃতার পরিবারের আরও দাবি করেছে , এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ও তার ছেলে। এলাকার মানুষ ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতো। বহুবার পুলিশকে জানানো হয়েছে এই ব্যাপারে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই যুবককে শীঘ্রই গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছে তার পরিবার।
সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে বলেন, প্রতি মুহূর্তেই সর্বত্র দেখছি অরাজকতা। নিজের সুবিধা মতো আইনের অপব্যবহার করছে অনেকেই। পুলিশ কি ভূমিকা পালন করছে সেখানে তা জানা নেই। তবে মেয়েটির ধর্ষণ হয়েছে কিনা টেস্ট করা প্রয়োজন। মেয়েটির পরিবার কি বলছে তাও জানা নেই। মেয়েটির সঠিক বিচার পাবে কি না সেটাই দেখার।