তেমন কোনও পরিবর্তন নেই দেশের করোনা সংক্রমণের। যদিও গতদিনের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে তবুও গ্রাফ নিয়ন্ত্রণেই আছে। বেশ খানিকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। সুস্থতার হার বেড়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০৯ জন। যা আগের থেকে সামান্য বেশি গত ২৪ ঘণ্টায়। আবার পজিটিভিটি রেট কিছুটা বেড়ে হয়েছে ০.২১ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের এক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১১ হাজার ৪৯২। অ্যাকটিভ কেসের দিক থেকে দেখতে গেলে ভারতে অ্যাকটিভ কেসের হার মাত্র ০.০৩ শতাংশ। যদিও করোনার জন্য মৃত্যু জারি রয়েছে এখনও । রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে , গত একদিনে করোনার কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন। সুতরাং এখনো আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিত এই মারণ ভাইরাসের ব্যাপারে। এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা কোভিডে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৫৪৩ জনে।
এসবের মধ্যে দেশের সুস্থতার হার স্বস্তিজনক। পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে যে , দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ২ জন এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে করোনা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ১ হাজার ২১৩ জন। ৯৮.৭৬ শতাংশ হয়েছে সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে যে , দেশে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮৫ কোটি ৩৮ লক্ষের বেশি ডোজ। সাড়ে ১৬ লক্ষের বেশি দেশবাসী গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
ভারত যদিও লড়াই করে বেশ কিছুটা ভালো জায়গায় রয়েছে কিন্তু পাশের দেশ চীনের বেশ কিছু শহরে করোনার কারণে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২১ হাজারের বেশি মানুষ চিনের সাংহাই শহরে সংক্রমিত হয়েছেন। ওই শহরে যার জেরে প্রশাসন ৭ দিনের কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ফের নতুন কোনও স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে সাংহাইয়ে। যা আগের করোনার স্ট্রেন গুলির থেকে ভয়ানক এবং অতিসংক্রামক।