পরকীয়া প্রেমের ঘটনা সমাজে একটি নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে এলাকাবাসীরাই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। এবং প্রেমিক প্রেমিকা যুগল কে নানাভাবে অপদস্থ করে। নীতি পুলিশের ভূমিকা নেওয়া মাতব্বররা কোন কিছুই বাধা-নিষেধ শুনতে রাজি হয়না। যেমন পরকীয়া চালানোর কারণে মারধর এবং হেনস্থা হতে হলো এই যুগল কে।
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় এক পরকীয়া রত প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভয়াবহভাবে মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, গ্রামবাসীরা এই দুজনকে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠতা করার সময় আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরেছিল। এই দুজনই বিবাহিত। তারপর সবাই মিলে দুজনকে এমনভাবে মারধর করে যে মহিলার চোখ ফুলে যায় এবং তার জামাকাপড় ছিঁড়ে যায়। ঘটনাটি শিকারীপাড়া থানা এলাকার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন এ ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয়।
প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই বিবাহিত। প্রেমিকার দুটি এবং প্রেমিকের তিনটি সন্তান রয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রেমিকার স্বামী বাড়ি থেকে বের হতেই কিছুক্ষণ পর প্রেমিকা চুপচাপ ঘরে ঢুকে পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরে এই পরকীয়ার ঘটনা চলছিল একটানা। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ সুযোগ পেয়েই গ্রামবাসীরা দুজনকেই হাতেনাতে ধরে বেধড়ক মারধর করে।
দুজন কেই সাথে নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সারা গ্রাম প্রদক্ষিণ করানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে এবং দুজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। একই সঙ্গে গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত ও তাদের স্তরে বিষয়টি সমাধানের কথা বলছেন।
অবশ্যই এই প্রথম নয়। আগেও বহুবার এমন ঘটনা সামনে এসেছে। বছর দেড়েক আগে ঝাড়খণ্ডের ই সাহেবগঞ্জ জেলার রাঙ্গা থানা এলাকা থেকে এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে এক প্রেমিক যুগলকে উলঙ্গ করে জুতার মালা পরিয়ে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়েছিল। তখনও গ্রামেরই কেউ এই ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয়। সেবার সেই প্রেমিক যুগলকে গ্রামবাসীর হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেবার অবশ্য পুলিশ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।